খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে খাদ্যের অভাব নেই, মন্দাও নেই। দলমত নির্বিশেষে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় সুবিধা পাচ্ছে সবাই।

শনিবার (২৫ ফ্রেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় নওগাঁর নিয়ামতপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে 'প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৩'-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সাপাহার ও পোরশা উপজেলার একই কর্মসূচিতে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকারের বাস্তবমুখী কার্যক্রমের ফলে বাংলাদেশ এখন মাছ, মাংস ও ডিম উৎপাদনে স্বাবলম্বী হয়েছে। এক সময় দেশের বাইরে থেকে গরু আসত। বিদেশি গরু না হলে আমাদের দেশে কোরবানি হতো না। এখন সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। পর্যাপ্ত গরু এখন দেশেই উৎপাদিত হয়। কারণ সরকার খামারিদের জন্য লোনের ব্যবস্থা করেছে। আধুনিক পদ্ধতিতে গবাদিপশু লালন-পালনের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করায় অনেক খামারি বা উদ্যোক্তা খামার স্থাপনের মাধ্যমে এটাকে পেশা হিসাবে নিয়ে সফল হয়েছেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সঠিক নেতৃত্ব পেলে বাঙালি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে এর বড় প্রমাণ আমরা ১৯৭১ সালে দেখেছি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা লাভ করেছি। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে উন্নয়নের মডেল।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়ে প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনার নির্দেশনা দিয়েছেন। বিষয়টি অনুধাবন করে উৎপাদন বাড়াতে মনোযোগী হতে হয়েছে। একই সঙ্গে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে বাড়িতে গবাদিপশু, হাস- মুরগির লালন পালন বাড়াতে হবে।

নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন মন্ডল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাদিরা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইয়ামিন আলী।

এর আগে খাদ্যমন্ত্রী সপ্তাহব্যাপী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।

উল্লেখ্য, স্মার্ট লাইভস্টক, স্মার্ট বাংলাদেশ- এ শিরোনামে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ঢাকাসহ সারাদেশে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ শুরু হয়েছে। নিয়ামতপুর উপজেলার এই প্রদর্শনীতে প্রায় ৪২টি স্টলে বিভিন্ন প্রজাতির গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগি, কবুতর, বিভিন্ন শৌখিন পাখি এবং ঘোড়া প্রদর্শন করা হয়। উৎসুক জনতা প্রদর্শনী উপভোগ করেন এবং প্রাণিসম্পদ সম্পর্কিত খোঁজ খবর নেন।

আরকে