সাতক্ষীরার আশাশুনিতে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় দুই বিষয়ে অনুপস্থিত থেকেও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে জিসান আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী। জিসান আহমেদ পূর্ব কামালকাঠি গ্রামের মো. জাকির সরদারের ছেলে ও ১৫০নং পূর্ব কামালকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এসময় দেখা যায়, আশাশুনি উপজেলা থেকে প্রাথমিকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে মোট ৫৭ পরীক্ষার্থী। যার মধ্যে ২৯ জন ছাত্রী। এদিকে সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে ৬৭ জন পরীক্ষার্থী। যার মধ্যে ৩৪ জন ছাত্রী। ফলাফল তালিকায় জিসান আহমেদ, যার রোল ৭৭ তাকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি দেখানো হয়েছে।

আরও পড়ুন >>> প্রাথমিকের বৃত্তির ফল স্থগিত

জানা গেছে, বৃত্তি পরীক্ষায় চারটি পরীক্ষার মধ্যে সে দুইটিতেই অনুপস্থিত ছিল। পরীক্ষায় অনুপস্থিত থেকেও সে কিভাবে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে এ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। যদিও ফলাফল ঘোষণার চার ঘণ্টার মধ্যেই ফলাফল বাতিল ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ, তবে এমন ভুল নিয়ে আঙ্গুল তুলছে অনেকে।

পূর্ব কামালকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস অনুপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করলেও তার পরিচয় দিতে অস্বীকার করেন। তবে তিনি বলেন, অফিসের নিষেধ আছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানালে আমার চাকরির সমস্যা হবে।

আশাশুনি উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সেলিম জানান, রেজাল্ট শিটে ৭নং ক্রমিক রোলের শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। কিভাবে পেয়েছে বলতে পারব না। প্রিন্টিংয়ের সমস্যাও হতে পারে। তবে পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল বোর্ড থেকে বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক অভিভাবক জানান, কর্তৃপক্ষ প্রতিবছর এভাবেই স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে পরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তন করে থাকেন। যেটার প্রমাণ স্বরূপ এ ঘটনা ঘটেছে। পরীক্ষায় চারটি বিষয়ের মধ্যে দুইটিতে অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কিভাবে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পায় এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া কঠিন।

সোহাগ হোসেন/এফকে