জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার কাটাখালী নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি পাঁচ বছর আগে বন্যার পানির প্রবল স্রোতে ভেঙে গেছে। পাঁচ বছরেও সেতুটি পুনঃনির্মাণ হয়নি।‌ এতে ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীসহ হাজারও মানুষ।

ভাঙা সেতুটি মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের পাঠানপাড়া এলাকায় কাটাখালি নদীর উপর অবস্থিত।

স্থানীয়রা জানান, ২০১৮ সালের বন্যায় পানির প্রবল স্রোতে কাটাখালী নদীর ওপর নির্মিত সেতুটির মাঝের অংশ ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। প্রায় ৫ বছর কেটে গেলেও ওই স্থানে নতুন করে সেতু নির্মাণ হয়নি। এতে সেতুর আশপাশের গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, কাটাখালী নদীর ওপরের সেতুটির মাঝের অংশ ভেঙে পড়েছে। ব্রিজের ওপরে রেলিং ভেঙে বেরিয়ে থাকা রড় বের করে নিয়ে গেছে অনেকেই।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেতুটি ভাঙার সাড়ে পাঁচ বছর পার হলেও এখনো সংস্কার বা পুনঃনির্মাণ করা হয়নি। ফলে স্থানীয়রা পড়েছেন চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে। স্কুল, মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজনকে চার কিলোমিটারের বেশি পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

বেলতৈল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাকিলা জান্নাত বলেন, ‘আমরা নির্ধারিত সময়ে বিদ্যালয়ে যেতে পারছি না। অন্য রাস্তা দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয়, আমাদের ওই রাস্তা দিয়ে ভাড়া বেশি লাগে।'

ঘোষেরপাড়া এলাকায় আব্দুল মান্নান বলেন, বন্যার সময় সেতু ভেঙে গেছে। বাজারে যেতে অনেক পথ ঘুরতে হয়। এই সেতু ভাঙা থাকায় ছেলেমেয়ে ঠিকমতো স্কুলে যেতে পারছে না।

জামালপুরের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সায়েদুজ্জামান সাদেক বলেন, বন্যায় এমনভাবে সেতুটি ভেঙেছে, যে এটা আর কোনোভাবে মেরামতের উপযোগী ছিল না। ফলে সেখানে একটি নতুন সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছিল। ২১০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি নতুন সেতু একনেক সভায় অনুমোদন পেয়েছে। সেতুটির নকশার কাজ চলমান। দ্রুত এটির দরপত্র আহ্বান করা হবে।

আরকে