খুলনায় মারধরের প্রতিবাদে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা। বুধবার (১ মার্চ) বেলা ১১টায় কর্মবিরতি চলাকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন চিকিৎসকরা। 

শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার সকাল ৬টা থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা। এই কর্মবিরতি চলবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সকাল ৬টা পর্যন্ত। তবে খোলা থাকবে জরুরি বিভাগ। এর আগে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনা শাখা এ কর্মসূচি ঘোষণা করে।

বিক্ষোভ সমাবেশে বিএমএ খুলনার সভাপতি ডা. বাহারুল আলম বলেন, আমাদের প্রতিবাদ করার কোনো প্রয়োজন ছিল না। কেন আমরা প্রতিবাদ করব? ঘটনাটি ঘটিয়েছে পুলিশ, উপস্থিত ছিল পুলিশ। তারা নিজেরাই মামলা করতে পারতো। কেন ৪৮ ঘণ্টায়ও মামলা নিল না, কী কারণে এমনটা হলো। আমরা আজ পূর্ণদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছি। আমরা সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে বিকেলে বিএমএর বৈঠক করব। সেখানে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব। এরপর আন্দোলন হবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে।  

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ বলেন, আমরা যে অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছি সেখান থেকে পিছপা হওয়ার উপায় নেই। আমরা মার খেতে খেতে এমন অবস্থানে চলে গেছি যে দেওয়ালে আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে। এখন আমাদের বাঁচতে হবে। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যায় না। আমরা নিজেদের মতো কাজ করব।

রোগীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রতিটি হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসাসেবা অব্যাহত থাকবে। কিন্তু বহির্বিভাগে আজকে কর্মসূচির কারণে বন্ধ থাকছে।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএমএ খুলনার সাধারণ সম্পাদক ডা. মেহেদী নেওয়াজ, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হাসান প্রমুখ।  

বক্তারা বলেন, কেন একজন ডাক্তারের ওপর হামলা হবে। হাসপাতালে চিকিৎসক আসে রোগীর চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। হাসপাতালের অব্যবস্থাপনার দায়ভার চিকিৎসক কখনো নেবে না। চিকিৎসকরা যদি এভাবে মার খেতে থাকে তাহলে রাজপথে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচি দিব। এ ধরনের ঘটনা যেন ভবিষ্যতে আর না ঘটে, কর্মক্ষেত্রে যাতে আমরা চিকিৎসকের যোগ্য মর্যাদা নিয়ে নিরাপত্তা সহকারে কাজ করতে পারি সেই দাবি জানাই। 

মোহাম্মদ মিলন/আরএআর