নোয়াখালীতে বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) থেকে শুরু হচ্ছে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া। জেলার ১১৯টি পদের বিপরীতে ৩ হাজার ৮৩৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। সেই হিসাবে প্রতিটি পদের বিপরীতে লড়বেন ৩২ জন চাকরিপ্রার্থী। 

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) পুলিশ লাইনসে প্রার্থীদের শারীরিক উচ্চতা, কাগজপত্রাদি যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে। আগামী ৩ ও ৪ মার্চ তাদের শারীরিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। 

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ লাইনসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম। 

পুলিশ সুপার জানান, নোয়াখালী জেলায় ১০১ জন পুরুষ ও ১৮ নারীসহ মোট ১১৯ জন কনস্টেবল নিয়োগ দেওয়া হবে। অনলাইনে প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে ৩ হাজার ৮৩৬ প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। যার মধ্যে পুরুষ প্রার্থীর সংখ্যা ৩ হাজার ৫৩৫ জন এবং নারীর সংখ্যা ৩০১ জন। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আগামী ৯ মার্চ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ১৯ মার্চ মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ওই দিন চূড়ান্ত নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।

নিয়োগ শতভাগ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সম্পন্ন হবে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, শতভাগ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে এই নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে। নিয়োগে কোনো ধরনের দুর্নীতি-অনিয়ম মানা হবে না। আমি এটার শতভাগ বাস্তবায়ন করব। নিয়োগ প্রার্থী যেন দালাল চক্র বা প্রতারক দ্বারা প্রতারিত না হয়। এজন্য আমরা ইতোমধ্যে সব থানায় বিট পুলিশিং সমাবেশসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করেছি। এই নিয়োগে যোগ্য প্রার্থীদেরই চাকরি হবে।

এ সময় পুলিশ সুপার (এসবি) ঢাকা ওহাবুল ইসলাম খন্দাকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ব্রাহ্মণবাড়িয়া মো. মোজ্জামেল হোসেন রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) বিজয়া সেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মোর্তাহীন বিল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) নাজমুল হাসান রাজিব, সহকারী পুলিশ সুপার (হাতিয়া সার্কেল) আমান উল্লাহসহ নিয়োগ কার্যক্রমে নিয়োজিত বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

হাসিব আল আমিন/আরকে