নাজিম উদ্দিন পাশা

সিলেটের বিয়ানীবাজারে নাজনীন আক্তার (১৮) নামে এক তরুণীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে একই গ্রামের যুবক নাজিম উদ্দিন পাশা (২০)।মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সকালে উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের বালিঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার ৯ ঘণ্টা পর এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নাজিমকে আটক করে পুলিশ।

নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নাজনীন আক্তারের বিয়ের বিষয় নিয়ে বর পক্ষের সঙ্গে আলোচন চলছিল। বুধবার (১৭ মার্চ) বর পক্ষের লোকজন তাকে দেখতে আসার কথা। তবে মঙ্গলবার প্রতিবেশী যুবক নাজিম উদ্দিন পাশার দায়ের কোপে নাজনীন আক্তার মারা যায়। নাজনীন বালিঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

নাজনীনের বাবা সামসুল হক চৌধুরী বলেন, বুধবার সকালে নাজিম উদ্দিন পাশা তাদের বাড়িতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতে আসে। এ সময় বসতঘরে টেলিভিশন দেখা অবস্থায় নাজনীনকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে দা দিয়ে গলায় কোপ মারে। এতে ঘটনাস্থলে নাজনীন মারা যায়। ঘটনার পরপরই নাজিম পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে জকিগঞ্জ-বিয়ানীবাজার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় ও বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রেমঘটিত কারণে এই হত্যাকাণ্ডটি হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত যুবককে তার আত্মীয়ের বাড়ি থেকে রাতেই আটক করা হয়। নাজনীনের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

তুহিন আহমদ/ এমআইএইচ