চুয়াডাঙ্গার গোকুলখালিতে চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছন থেকে পড়ে আনোয়ারা বেগম (৬২) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের গোকুলখালী সেতুর কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা দুজনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়ার আধাঘণ্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনোয়ারা বেগমের মৃত্যু হয়।

মৃত আনোয়ারা বেগম চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার গুলশানপাড়ার বাসিন্দা ও জামায়াতে ইসলামির সাবেক আমির আনোয়ারুল হক মালিকের স্ত্রী। সোমবার (৬ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে আমিরপুর গ্রামে তার জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হবে।

আনোয়ারুল হক মালিকের ছোট ভাই হুসাইন মালিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভাই তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে নিয়ে অসুস্থ বিয়ানকে দেখতে মেহেরপুরের দরবেশপুর মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যায় সেখান থেকে মোটরসাইকেলে ফেরার পথে গোকুলখালী বাজারের সেতুর আগে একটি ছাগলকে বাঁচাতে গিয়ে তিনি জোরে ব্রেক করেন। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে ভাবি মাথায় গুরুতর আঘাত পান। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে ভাবি মারা যান। ভাইও সামান্য আহত হয়েছেন। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ভাই ও ভাবির এক ছেলে ও চার মেয়ে। আজ সোমবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আমিরপুর গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে ভাবির দাফনকার্য সম্পন্ন করা হবে। 

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) এ এস এম ফাতেহ আকরাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাসপাতালে ভর্তির আধাঘণ্টা পর রাত ৮টার দিকে আনোয়ারা বেগম মারা যান। মাথায় বড় ধরনের আঘাতের কারণে রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, একটি ছাগলকে বাঁচাতে গিয়ে স্বামীর মোটরসাইকেলের পেছন থেকে পড়ে যান স্ত্রী আনোয়ারা বেগম। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। অভিযোগ না থাকায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  

আফজালুল হক/আরকে