ইনসেটে অভিযুক্ত আশিক

কয়েক ঘণ্টা পরই অন্য মেয়ের সঙ্গে প্রেমিকের বিয়ে। খবর পেয়ে শুক্রবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে হাজির প্রেমিকা। তার জোর দাবির মুখে বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়েছেন প্রেমিকসহ পরিবারের লোকজন। তবে নাছোড়বান্দা প্রেমিকা তালাবদ্ধ বাড়ির সামনেই বিয়ের দাবিতে অনশন করছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১১ মার্চ) বিকেল পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার গোহালবাড়ি ইউনিয়নের বজরাটেক কানারহাট ড্রেনপাড়ার মো. আইনাস আলীর বাড়ির সামনে বিয়ের দাবিতে অনশনে রয়েছে একই ইউনিয়নের বজরাটেক মোন্নাপাড়া গ্রামের দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী। 

ওই স্কুলছাত্রীর দাবি, আইনাস আলীর ছেলে মো. আশিকের (২৫) সঙ্গে দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক তার। বিয়ের প্রলোভনে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন আশিক। 

জানা যায়, প্রেমিক আশিকের সঙ্গে অন্য এক মেয়ের বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় বিয়ের দাবি নিয়ে যায় ওই স্কুলছাত্রী। পরে আশিক ও তার পরিবার বিয়েতে রাজি না হলে আত্মহত্যার হুমকি দিলে বাড়িতে তালা মেরে পালিয়ে যান আশিক ও তার পরিবারের লোকজন। রাতে বাসায় ফিরে গেলেও সকালে আবার প্রেমিকের বাড়ির সামনে গিয়ে অনশনে বসে প্রেমিকা। 

অনশনে থাকা ওই স্কুলছাত্রী বলে, আশিকের সঙ্গে আমার গত দুই বছর ধরে প্রেম চলছে। বিয়ের কথা বলে আমার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে। কিন্তু হঠাৎ শুনতে পাই শুক্রবার (১০ মার্চ) রাতে আরেক মেয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছে। তাই এখানে এসে তার পরিবারকে বিয়ের কথা বললেও তা না শুনে তারা আমাকে তাড়িয়ে দেয়। বাধ্য হয়েই বাড়ির সামনে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেছি। 

সে বলে, আমাকে বিয়ে না করা পর্যন্ত তার বাড়িতেই অবস্থান করবো। আশিক আমার সর্বনাশ করেছে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে। তাই সে আমাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেব।

এ বিষয়ে প্রেমিক আশিকের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তার বাবা আইনাস আলী বলেন, এসব বিষয়ে কোনো কথা বলতে পারব না। 

গোহালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইয়াসিন আলী শাহ বলেন, বিষয়টি আমি লোকমুখে শুনেছি। এ বিষয়ে উভয়পক্ষ আসলে তাদের কথা শুনে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

ভোলাহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে মেয়ের বয়স কম। এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

জাহাঙ্গীর আলম/আরএআর