বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, এবার কোনো ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না। ভোট চুরির দিন শেষ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। সেই নির্বাচনে বিএনপি দুই তৃতীয়াংশ আসন পাবে। ভোটের মাঠে প্রমাণ হবে জনগণ কাদের চায়। তাই দ্রুত সরকারের পতন ঘটাতে হবে।

শনিবার (১১ মার্চ) বিকেলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদসহ ১০ দফা দাবিতে চাঁদপুর শহরের হাজী মহসিন রোডে জেলা বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

রুমিন ফারহানা বলেন, আওয়ামী লীগ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে কারচুপি করে ক্ষমতায় এসেছে। এ নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। জনগণ আর একই রকম নির্বাচন চায় না।  তাই এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয়। আগামী নির্বাচন হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে। বর্তমানে আওয়ামী লীগ নিজের লোক দিয়ে নিবার্চন কমিশন বানিয়েছে। এটা তাদের অধীনের নির্বাচন কমিশন। তাই আমরা এই কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর দেশের ব্যাংক শেষ করেছে। শেয়ার মার্কেট শেষ করেছে। বড় বড় ফ্লাইওভার, ব্রিজ বানানোর নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। প্রত্যেকটি দুর্নীতি ও অনিয়মের হিসেব রাখা হয়োছে। মনে করছেন হাজার কোটি টাকা কামাইছেন এবার বিদেশে চলে যাব। বাংলার মানুষ বর্ডার পার হতে দেবে না।  দেশের মানুষের টাকা খেয়েছেন, লুট করেছেন, চুরি করছেন, সেই টাকার হিসাব দিয়ে তারপর বিদেশে যাবেন। পেছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে যাবেন তা হবে না। 

রুমিন ফারহানা বলেন, বিএনপির আন্দোলনে সরকার ভীত। তাই আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতে শান্তি সমাবেশের নামে দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। সরকার যতই তালবাহানা করুক না কেন, সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আগামী নির্বাচন হবে না। বিএনপির ১০ দফা আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার আন্দোলন নয়। জনগণের গণতন্ত্র, বাক-স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন।

পুলিশ বাহিনীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা আমাদের ঘরের সন্তান। এমন কিছু করবেন না যেন র‌্যাবের মতো  আপনাদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আসে।  নিজের দেশের ভাইয়ের ওপর গুলি চালাবেন না, খুন করবেন না, ক্রসফায়ার দেবেন না। আমরা জনগণকে নিয়ে একটা একটা করে বিচার করব। জনগণের সেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করব।
 
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সেলিম উল্লাহ সেলিমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ এম এ হান্নান। এ সময় জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

আনোয়ারুল হক/আরএআর