সাভারে স্বর্ণের চেইন হারিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা সেই নারী অভিযোগ প্রত্যাহার করেছেন। সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে অভিযোগ প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিযোগকারী জরিনা বেগম। তিনি তার চেইন ঘরের মধ্যে খুঁজে পেয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করেছেন। 

তবে পুলিশের দাবি- হয়রানি করতেই এমন অভিযোগ দায়ের করেছিলেন জরিনা বেগম।

এর আগে (৯ মার্চ) দুই পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও একজন সোর্সের  বিরুদ্ধে পুলিশ সদর দপ্তরে আইজিপি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ওই নারী। ১২ মার্চ তিনি অভিযোগ প্রত্যাহার করেন। 

জরিনা বেগমের অভিযোগ ছিল- গত ৮ মার্চ রাতে আমিনবাজারের দিপ্তিরটেক এলাকার জাহিদের মালিকানাধীন বাড়ির নিচ তালায় জরিনা বেগমের ভাড়া বাসায় তল্লাশি করেন এএসআই মাহাতাব ও ফারুক নামে দুই পুলিশ সদস্য। তারা জরিনা বেগমের ঘরে জোরপূর্বক প্রবেশ করে তল্লাশির নামে ১ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। নিজের আলমারিতে থাকা এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন খুঁজে না পেয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ করেন জরিনা।

তবে সোমবার (১৩ মার্চ) জরিনা বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি আমার স্বর্ণের চেইন ঘরেই পেয়েছি। আলমারিতে কাপড়-চোপড় ওলটপালট থাকায় আমি আমার চেইন খুঁজে পাইনি। চেইন না পেয়ে আমি অনেক ভেঙে পড়ি। এ কারণে ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে অভিযোগ করি। অভিযোগের পর আমার স্বর্ণের চেইন খুঁজে পাই। পরে ওই অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিই। এখন আমার কোনো অভিযোগ নেই। 

কোনো ধরনের চাপে পড়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার অভিযোগ ছিল শুধু আমার একটি স্বর্ণের চেইনের। কিন্তু সেটি আমি আমার ঘরেই পেয়েছি। এখানে চাপের কিছু নেই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এএসআই মাহাতাব বলেন, কিছু দিন আগে জরিনার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে মানিকগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেই। তার বিরুদ্ধে আরেকটি ওয়ারেন্ট ছিল। আমরা তাকে আবারও গ্রেপ্তার করার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম। এ ক্ষোভ থেকেই হয়ত জরিনা বেগম এমন অভিযোগ করেছিলেন। আমার দীর্ঘ চাকরিজীবনে এমন লজ্জাজনক অভিযোগ কখনো শুনিনি ।

এ বিষয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ওই নারী তার স্বর্ণের চেইন ঘরেই পেয়েছেন। আবার চেইন পাওয়ার পর অভিযোগ প্রত্যাহারও করেছেন। এভাবে না বুঝে পুলিশকে হয়রানি বা হেয়প্রতিপন্ন করা আসলে কাম্য নয়। এ ধরনের ঘটনা আসলেই দুঃখজনক। 

মাহিদুল মাহিদ/আরএআর