আলুক্ষেত থেকে সরানো হলো বিমানটি

রাজশাহী তানোরে আলুক্ষেত থেকে সরানো হলো ভূপাতিত হওয়া প্রশিক্ষণ বিমানটি। বুধবার (মার্চ ১৭) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাখা খুলে সরানো হয় বিমানটি।

এর আগে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তদন্ত কমিটির দুই সদস্য অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার এম এম আসাদুজ্জামান ও অবসরপ্রাপ্ত গ্রুপ ক্যাপ্টেন হারুনর রশীদ। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান তারা। প্রায় দুই ঘণ্টা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ শেষে দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন তদন্ত কমিটির দুই সদস্য। 

সন্ধ্যা থেকে বিমানটির বিভিন্ন অংশ খুলতে শুরু করেন বাংলাদেশ ফ্লাইং ক্লাবের কর্মীরা। অন্ধকার নেমে আসায় ব্যাটারি ব্যবহার করে আলো জ্বালিয়ে কাজ করেন তারা।  

ফ্লাইং ক্লাবের কর্মীরা জানান, বিমানটি খোলা সম্পন্ন হলে বিমানের অংশগুলো ট্রাকযোগে নেওয়া হবে রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম বিমানবন্দরে।

তানোর উপজেলায় বাংলাদেশ ফ্লাইং ক্লাবের একটি প্রশিক্ষণ বিমান ভূপাতিত হয় 

জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার এম এম আসাদুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনার শিকার পাইলট ও প্রশিক্ষণার্থীর সঙ্গে কথা বলেছি। এছাড়া বিমানের যন্ত্রাংশ পরীক্ষা করে দেখেছি। আরও কিছু বিষয় তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে তানোরের আড়াদিঘি লালপুর এলাকায় আলুক্ষেতে বাংলাদেশ ফ্লাইং ক্লাবের এস-২ এজিজি সেসেনা ১৫২ মডেলের প্রশিক্ষণ বিমানটি আছড়ে পড়ে

বিমানটিতে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ফ্লাইং ক্লাবের রাজশাহীর প্রশিক্ষক ও সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মাহফুজুর রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন ক্যাডেট নাহিদ এরশাদ। দুর্ঘটনায় দুজনই প্রাণে বেঁচে যান। 

ফুয়েল লিকেজ থেকে ইঞ্জিন বিকল হওয়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ইঞ্জিন বিকলের পর পাইলট সেটিকে খোলা স্থানে জরুরি অবতরণের চেষ্টা করেন। কিন্তু অসমতল আলুক্ষেতে আছড়ে পড়ে উল্টে যায় বিমানটি।

ঘটনার তদন্তে অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার এম এম আসাদুজ্জামানকে প্রধান করে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত শাখা।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এএম