৬০ কেজি ওজনের মিষ্টি কুমড়া চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জুগিরগোফা গ্রামের কৃষক সাইফ আহাম্মেদ। আর এই মিষ্টি কুমড়া দেখতে ছুটে আসছেন কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। 

বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গাংনী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত কৃষি প্রযুক্তি মেলায় প্রদর্শনের জন্য আনা হয়েছে বিশালাকৃতির এই মিষ্টি কুমড়া। ‘কৃষিই সমৃদ্ধ’ এ প্রতিপাদ্যে সোমবার (১৩ মার্চ) বেলা ১২টার সময় গাংনী উপজেলা অডিটোরিয়াম চত্ত্বরে দুইদিন ব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন হয়েছে। 

কৃষক সাইফ আহাম্মেদের জমিতে উৎপাদিত এই মিষ্টি কুমড়া একদিকে যেমন এলাকাবাসীর দৃষ্টি কেড়েছে, অন্যদিকে নজর কেড়েছে মেলার বিচারক মণ্ডলীদেরও।
 
সাইফ আহাম্মেদ বলেন, আমার পুকুর পাড়ের একটি পরিত্যক্ত জায়গায় সবজি চাষ করেছি। সেখানে বেশ কিছু উচ্চ ফলনশীল দেশীয় জাতের মিষ্টি কুমড়ার গাছ লাগিয়ে ছিলাম। সেখানেই এই মিষ্টি কুমড়া হয়েছে। বেশ কিছু টাকার কুমড়া বিক্রি করেছি। উৎপাদিত কুমড়াগুলো বেশ বড় সাইজের হয়েছে। তবে একটি মিষ্টি কুমড়া হয়েছে বিশালাকৃতির। সেটির ওজন হয়েছে ৬০ কেজি অর্থাৎ দেড় মণ। 

তিনি বলেন, বিষয়টি কৃষি অফিসকে জানালে তারা আমাকে কৃষি প্রযুক্তি মেলায় অংশ নিতে বলে। প্রতিযোগিতায় আমি কোনো স্থানে থাকবো কীনা জানি না, তবে মেলা দেখতে আসা দর্শনার্থীরা আমার মিষ্টি কুমড়ার ছবি তুলছে এবং কেউ সেলফি তুলছে। এটিই জেলার একমাত্র বড় ও বেশি অজনের মিষ্টি কুমড়া বলে দাবি করেছেন তিনি।

মেলায় ঘুরতে আসা স্কুলশিক্ষক কাকন বলেন, মেলায় আসা প্রায় সবারই এ মিষ্টি কুমড়া দেখা ও ছবি তোলার প্রতি খুব আগ্রহ ছিল। 

এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শিকদার মোহাম্মদ মহাইমেনুল আক্তার বলেন, মেহেরপুর জেলার মাটি সবজি উৎপাদনের জন্য খুবই উপযোগী। যেকোনো সবজি এ মাটিতে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব। জেলায় হাইব্রীডসহ দেশীয় বারি-৩, বারি-২, বারি-৭, হাজরি, জলদি, মিটাল মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়ে থাকে। 

তিনি বলেন, কৃষক সাইফ আহাম্মেদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শনা অনুযায়ী এক ইঞ্চি জমি ফেলে না রেখে পুকুর পাড়ে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছেন। এতে একটি গাছে ৬০ কেজি ওজনের মিষ্টি কুমড়া হয়েছে। এটিই আমাদের জানামতে সবচেয়ে বেশি ওজন ও বড় সাইজের মিষ্টি কুমড়া।

আকতারুজ্জামান/এমএএস