জামালপুরে প্রেমিকার অভিমান ভাঙাতে ব্যতিক্রমী পদ্ধতি অবলম্বন করে নজরে এসেছেন এক প্রেমিক। কলেজ গেটের সামনে ফেস্টুন টানিয়ে প্রেমিকাকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ওই প্রেমিক।

জামালপুরের মেলান্দহ জাহানারা লতিফ মহিলা কলেজের গেটের সামনে ফেস্টুন ও রাস্তায় দুঃখ প্রকাশের চিত্র অংকনের কয়েকটি ছবি বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কোনো এক প্রেমিক উপজেলার জাহানারা লতিফ মহিলা কলেজ ও তার পাশেই মেলান্দহ কারিগরি মহিলা কলেজে গেটের সামনে তিনটি ফেস্টুন টানিয়েছেন।

জাহানারা লতিফ মহিলা কলেজে গিয়ে দেখা যায়, কলেজের সাইনবোর্ডের ওপরে গাছের সঙ্গে টানানো হয়েছে ফেস্টুন। এতে লেখা হয়েছে ‘SORRY SORRY’। পাশেই রাস্তায় দুঃখ প্রকাশের প্রতীকী চিহ্ন এঁকে লেখা হয়েছে ‘Sorry’। এই কলেজের পাশেই মেলান্দহ কারিগরি মহিলা কলেজ। এর সাইনবোর্ডের পাশে বড় একটি গাছেও টানানো হয়েছে দুটি ফেস্টুন। এতে লেখা হয়েছে-  ‘Please Come Back to my life,  I Love You, I Miss You Everyday, I miss you Every Time’। প্রেমিকের এমন ব্যতিক্রমী কাণ্ডে অবাক সাধারণ শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। 

মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রেমিকার রাগ-অভিমান ভাঙাতেই প্রেমিক এমন ব্যতিক্রমী পদ্ধতিতে দুঃখ প্রকাশ করে তার জীবনে প্রেমিকাকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। 


 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, এমন ঘটনা এর আগে কখনো দেখিনি আমরা। প্রেমিকা হয়তো আমাদের কলেজেই পড়ে। সে জন্যই এই কলেজ গেটের সামনে ফেস্টুন টানিয়ে দিয়েছেন প্রেমিক। যাতে প্রেমিকার নজরে পড়ে, অভিমান ভাঙে। 

ফাতেমা জান্নাত নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আজ সকালে কলেজে আসতেই দেখি রাস্তায় বড় করে লেখা ‘সরি’। পাশেই গেটে সাইনবোর্ডের ওপরে ফেস্টুনে লেখা ‘সরি, সরি’। 

কলেজের পাশে আছাদ নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, গতকাল রাতে দোকান থেকে রাস্তা দিয়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় দেখি দুই ছেলে গাছের ওপরে  কি যেন লাগাচ্ছে। আমাকে দেখে নিচে নেমে পড়ে। পরে আজ সকালে আসার সময় দেখি এই কাণ্ড।

এ বিষয়ে জাহানারা লতিফ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, কলেজে ঢোকার সময় ভালো করে লক্ষ্য করিনি। বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। ফেস্টুনের লেখা দেখে বুঝা যাচ্ছে হয়তো দুজনের মাঝে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। রাগ-অভিমান ভাঙাতেই এমনটা করেছে। রাতের আঁধারে কলেজের গেটের সামনে এই ফেস্টুনগুলো লাগানো হয়েছে। কলেজ গেটের সামনে যত ফেস্টুন আছে সেগুলো এখনই খুলে ফেলা হবে। 

আরএআর