ফরিদপুর সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে এ ভোটগ্রহণ।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএমে) পদ্ধতিতে এই নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটার উপস্থিতি বেশি থাকলেও ইভিএমে ব্যাপক ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে।

ফরিদপুর সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের কানাইপুর উচ্চ বিদ্যালয়, মাচ্চর ইউনিয়নের পরানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খলিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়, কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের হাটগোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে এই কেন্দ্রগুলোর সব বুথে নারী ও পুরুষ ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে। ভোটাররা ইভিএমে ভোট দিতে অভ্যস্ত না হওয়ায় দেরি হচ্ছে সকল কেন্দ্রে। 

পরানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন আছিয়া খাতুন (৫৬)। তিনি বলেন, আগে ব্যালটে ভোট দিতাম তাতেই আরাম ছিল। সিল মাইরা চইলা আসতে পারতাম। এখন এই মেশিনের কারণে ভোট দিতে দেরি হইতেছে। সকালে না খাইয়া আইছি। ভাবছি যাইয়া খাবো। লাইনেই দাঁড়ায়া আছি তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধইরা। এখনও ভোট দিতে আধা ঘণ্টা লাগবে।

আম্বিয়া খাতুন (৫৮) বলেন, গরমে লাইনে দাঁড়াইয়া সিদ্ধ হইয়া গেছি। মেশিনে ভোট দেওয়া ঝামেলা বইলাই দেরি হইতেছে। 

ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নূরুল আমীন বলেন, ভোটার উপস্থিতি অনেক ভালো রয়েছে প্রতিটি কেন্দ্রে। গ্রামের মানুষ সবাই সকাল সকাল ভোট দিতে চলে এসেছেন বলে কেন্দ্রে চাপ বেড়েছে। তাছাড়া অনেকে ইভিএমে অভ্যস্ত না থাকায় দেরি হতে পারে।

প্রসঙ্গত, ফরিদপুর সদর উপজেলার ১১ ইউনিয়নের ১০৩টি কেন্দ্রে ৬৬৫টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬৯ জন প্রার্থী, সাধারণ সদস্য পদে ৩৫৮ জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ১১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৩৩ হাজার ২৯ জন। নির্বাচন পরিচালনার জন্য ২ হাজার ৯৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্ব পালন করছে।

জহির হোসেন/আরকে