বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ২০২৩ সালই আওয়ামী লীগের শেষ সময়। এরপর আর তারা ক্ষমতায় থাকবে না। আমরা এই বছরের শেষে অথবা নতুন বছরের শুরুতে নির্বাচন করতে চাই। কিন্তু সেই নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনে হবে না। হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে।

শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেল পৌনে ৬টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর হরিকিশোর রায় রোডস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন সড়কে কেন্দ্র ঘোষিত ১০ দফা বাস্তবায়নে মহানগর বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে কবুল বলে দিয়েছি। আপনি (শেখ হাসিনা) চিন্তা করে দেখুন কেয়ারটেকারের অধীনে নির্বাচনে যাবেন কি না? তবে উনি বলেছেন- আমি তো কেয়ারটেকার বাতিল করিনি, আদালত বাতিল করেছে। তার মানে উনি রাজি আছেন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না। তারা যে কর্ম করেছে তার জবাব দিতে হবে। সাড়ে সাত শ নেতাকর্মী তুলে নিয়ে গুম করা হয়েছে। সালাউদ্দিনকে ভারতে নিয়ে ফেলে দিয়ে আসা হয়েছে। এসবের জবাব দিতে হবে। ডাক এলে নেমে পড়তে হবে। শেষ যুদ্ধে জয়লাভ করতে হবে। এই নরঘাতক, লুটেরা-দুর্নীতিবাজদের ক্ষমতা থেকে অপসারণ করতে হবে। এছাড়া কোনো পথ নেই।

ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ ওয়ারেস আলী মামুন, শরীফুল আলম। এছাড়া আরও বক্তব্য দেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি রুহুল আমিন আকিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক রয়েল, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফখর উদ্দিন বাচ্চু, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী রানা। সমাবেশটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ ও অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী।

উবায়দুল হক/এমজেইউ