রামপালের ফয়লা এলাকায় বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্প স্থগিত করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি। একইসঙ্গে প্রকল্প স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও পুনঃচালুর দাবি জানিয়েছে সংগঠনের নেতারা।

রোববার (১৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির নেতারা এই দাবি জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আগামী ৩০ মার্চ প্রধানমন্ত্রীকে খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের মহাসচিব শেখ মোহাম্মদ আলী।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সম্প্রতি সরকার বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্পটি স্থগিত করেছে। খুলনা আগামীতে উন্নত বাংলাদেশ উপহার দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। যদি খুলনার সম্ভাবনাগুলোকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো যায় তাহলে। এই খুলনা প্রাকৃতিক এবং ভু-রাজনীতির সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে সড়ক, রেল, নৌ এবং সমুদ্রপথে ভারত, নেপাল, ভূটানের সঙ্গে বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারে। এ কারণে খুলনায় বিমানবন্দর অপরিহার্য। খুলনার দীর্ঘদিনের দাবি বিমানবন্দরটি বাস্তবায়ন না হওয়ায় খুলনার মানুষের জন্য এটি কষ্টের খবর।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন না হলে ইতোপূর্বে ১০০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ এবং উন্নয়ন বাবদ ব্যয় হওয়া বিপুল অংকের অর্থের অপচয় হবে এবং অধিগ্রহণ করা জমি অনাবাদি ও অব্যহৃত থাকবে। এ কারণে বিমানবন্দরটির যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। এখানে মোংলা সমুদ্র বন্দর, ইপিজেড ও সুন্দরবন অবস্থিত। এসব কারণে ব্যবসা বাণিজ্য ও পর্যটনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বিমানবন্দর থাকা অত্যন্ত জরুরি। এই বিমানবন্দরটির (পিপিপি) সিদ্ধান্ত বাতিল করে সরকারি অর্থায়নে পরপর দুই বাজেটে অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে ২০২৫ সালে ব্যবহার উপযোগী করার দাবি জানাচ্ছি। সর্বশেষ ৫৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দের অনেক টাকা এখানে ব্যয় হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জনানো হয়, খুলনার শহিদ শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক মানের কোনো খেলা নেই। অথচ চট্টগ্রাম ও সিলেটে খেলা দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘদিন খেলা না থাকায় স্টেডিয়ামটির মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। 

সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন সংগঠনের সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নেতা মিজানুর রহমান বাবু, অধ্যাপক আবুল বাশার, চৌধুরী রায়হান ফরিদ, শাহিন জামান পন, মনিরুজ্জামান রহিম, শেখ হাফিজুর রহমান, মিজানুর রহমান জিয়া, এসএম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, মফিদুল ইসলাম টুটুল প্রমুখ।

মিলন/এমএএস