মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আতিকুর রহমান রাহেল

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় বাবা-মাকে হত্যার দায়ে ছে‌লে আতিকুর রহমান রাহেলকে (৩৬) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকালে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় দেন। এ সময় আসামি আতিকুর রহমান রাহেল আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নিজাম উদ্দিন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আতিকুর রহমান রাহেল সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার সুনামপুর গ্রামের মৃত আবদুল করিম খান ওরফে ঠাকুর মনার ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৭ মার্চ সকালে উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের সুনামপুর গ্রামের আতিকুর রহমান রাহেল বাড়ির সামনের গাছ কাটতে গেলে তার বাবা আবদুল করিম খান ও মা মিনারা বেগম বাধা দেন। এ সময় তাদের সঙ্গে ছেলের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রাহেল উত্তেজিত হয়ে হাতে থাকা কোদাল ও দা দিয়ে বাবা-মায়ের ওপর হামলা করে। স্থানীয়রা তাদের চিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে রাহেল পালিয়ে যান। এতে ঘটনাস্থলেই আবদুল করিম খান মৃত্যুবরণ করেন। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা মিনারা বেগমকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। 

এরপর কিছুটা সুস্থ হলে মিনারা বেগমকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে হঠাৎ আবার শরীর খারাপ হয়ে গেলে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে তার ভাই দেলোয়ার হোসেনের মামলার প্রেক্ষিতে ২৮ মার্চ গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযুক্ত রাহেলকে আটক করে। এরপর ধারাবাহিক বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত আজ এ রায় দেন। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিজাম উদ্দিন আহমদ জানান, এই মামলার ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য-প্রমাণে ঘটনা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আতিকুর রহমান রাহেল দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তাই আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। এই রায়ে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি।

অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান, এই রায়ের বিরুদ্ধে বিবাদী উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

মাসুদ আহমদ রনি/আরএআর