রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে শুরু হয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের প্রাইভেট বা বৈকালিক চেম্বার। এর মধ্য দিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকের মতোই সরকারি হাসপাতালে নামমাত্র ফি দিয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানোর সুযোগ পাচ্ছেন রোগীরা।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিকেল ৩টায় রাজবাড়ী সদর হাসপাতালসহ দেশের ১২টি জেলা সদর হাসপাতাল এবং ৩৯টি উপজেলায় সরকারি হাসপাতালে ভার্চুয়ালি এ সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই বৈকালিক চেম্বারে সেবা প্রদান করা হবে।

এদিকে উদ্বোধনের ২ ঘণ্টার বেশি সময় পার হলেও রাজবাড়ীর বৈকালিক চেম্বারে এসেছেন মাত্র আট রোগী। তাদের মধ্যে দুজন অর্থোপেডিক বিভাগের ও ৬টি শিশু রোগী ছিল। পর্যাপ্ত প্রচার-প্রচারণার অভাবে রোগী সংকট বলে ধারণা করছে সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া উদ্বোধন উপলক্ষে রাজবাড়ীতে তেমন কোনো আনুষ্ঠানিকতাও চোখে পড়েনি।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুযায়ী, প্রতিদিন তিনজন চিকিৎসক রোগী দেখবেন। কোন ডাক্তার কোন দিন রোগী দেখবেন তার একটি তালিকা করা হয়েছে। ডাক্তারদের ক্যাটাগরি অনুযায়ী সরকার ফি নির্ধারণ করেছে। এই সেবার জন্য একজন অধ্যাপকের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা। এর মধ্যে ৪০০ টাকা চিকিৎসক পাবেন, সেবা সহায়তাকারী পাবেন ৫০ টাকা এবং হাসপাতাল পাবে ৫০ টাকা। এছাড়া সহযোগী অধ্যাপক বা সিনিয়র কনসালটেন্টের ফি ৪০০ টাকা, এর মধ্যে চিকিৎসক পাবেন ৩০০ টাকা। সহকারী অধ্যাপক বা জুনিয়র কনসালটেন্ট বা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রিধারী চিকিৎসকের ফি হবে ৩০০ টাকা, যার মধ্যে ২০০ টাকা চিকিৎসক পাবেন। এমবিবিএস বা বিডিএস বা সমমানের ডিগ্রিধারী চিকিৎসকদের ফি ২০০ টাকা, এর মধ্যে ১৫০ টাকা চিকিৎসক পাবেন। বাকি টাকা সার্ভিস চার্জ বাবদ কাটা হবে এবং চিকিৎসকদের সহায়তাকারীরা পাবেন। এক্ষেত্রে নার্স ও টেকনিশিয়ানরাও সপ্তাহে দুইদিন করে কাজ করবেন। এছাড়া প্রয়োজন হলে হাসপাতালের প্যাথলোজি, এক্স-রে ও আল্ট্রা বিভাগে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থাও আছে।

আনোয়ার হোসেন নামের এক শিশুর বাবা বলেন, জরুরি বিভাগে আমার তিন বছরের বাচ্চাকে ডাক্তার দেখাতে এসে জানতে পারলাম নামমাত্র মূল্যে প্রাইভেটভাবে দোতালায় ডাক্তার রোগী দেখছেন। পরে তিনশ টাকার স্লিপ কেটে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখালাম। তেমন ভিড়ও নেই। ডাক্তার অনেক সময় নিয়েই আমার বাচ্চাকে দেখেছে।

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ মোহাম্মদ হান্নান বলেন, প্রচার-প্রচারণার অভাবে প্রথম দিন রোগী কম। তবে শনিবার থেকে আশা করছি রোগী বাড়বে। প্রথম দিন শিশু ও অর্থোপেডিক ডাক্তার রোগী দেখেছেন। 

মীর সামসুজ্জামান/আরকে