নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় নিশ্চিত জেনে আওয়ামী লীগ আবারো নয়া কৌশলে প্রহসনের নির্বাচন করতে ষড়যন্ত্রে মেতেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।

তিনি বলেন, এবার আর কোনো অপকৌশল, ষড়যন্ত্রে কাজ হবে না। ইভিএম বাতিল করে ব্যালট পেপারে নির্বাচনের নতুন সিদ্ধান্তের মতো দলীয় সরকারের পরিবর্তে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে তারা বাধ্য হবে। নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনে বিএনপি ২৭০টিরও বেশি আসন পেয়ে সরকার গঠন করবে, আওয়ামী লীগ হোয়াইটওয়াশ হয়ে যাবে।

যুগপৎ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট পৌর শহরের হালুয়াঘাট ডিএস আলিম মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত উপজেলা অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমরান সালেহ প্রিন্স এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরও বলেন, সরকার একতরফাভাবে ২০১৪, ২০১৮ সালের মতো প্রহসনের নির্বাচনের জন্য ষড়যন্ত্র করে বিদেশিদের বিভ্রান্ত করতে সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের মিথ্যাচার করছে। আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে রাজনৈতিক দলসহ জনগণ অংশ নেবে না, হতে দেবে না।

সাধারণ মানুষ এখন দিশেহারা উল্লেখ করে প্রিন্স বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে ক্ষুধার জ্বালায় মানুষ দিশেহারা। অথচ সরকার নির্বিকার। সরকার মিথ্যা আশ্বাস আর দুর্নীতিতে মহাব্যস্ত। মানুষ অর্থনৈতিক দুরাবস্থার মধ্যে নিপতিত।

বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে আওয়ামী নেতারা বিএনপির বিরুদ্ধে হাস্যকর মিথ্যাচার করছে দাবি করে বিএনপির এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, সরকার নিজেদের ব্যর্থতা, দুর্নীতি, দুঃশাসন আড়াল করতে, জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিতে নিজেরাই বঙ্গবাজারে আগুন লাগালো কি না, তা সন্দেহের সৃষ্টি করেছে।

অবস্থান কর্মসূচিতে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, জেলা বিএনপির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আমজাদ আলী, আসলাম মিয়া বাবুল, হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ, আবু হাসনাত বদরুল কবির, আরফান আলী, আলমগীর আলম বিপ্লব, মিজানুর রহমান মিজান, আব্দুল হাই, জেলা যুবদলের সহসভাপতি আবদুল আজিজ খান, তারিকুল ইসলাম চঞ্চল, যুগ্ম সম্পাদক আবদুল মালেক, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ সাদমান ডুনন, সিনিয়র সহসভাপতি আসাদুজ্জামান আসিফ, সাধারণ সম্পাদক রায়হান শরীফ হলুদ, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক হোসনে আরা নীলু, সহ-সভানেত্রী মনোয়ারা বেগম ময়না, জেলা জাসাস সভাপতি শফিকুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উবায়দুল হক/এমজেইউ