টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায় শাশুড়ির সামনে স্ত্রী সুমিতা বেগমকে (৪০) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী মিনজু মিয়ার বিরুদ্ধে। শনিবার (৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার কুপাখী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী মিনজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কুপাখী গ্রামের মৃত আজগর মিয়ার ছেলে মিনজু মিয়ার সঙ্গে প্রায় ২৫ বছর আগে মির্জাপুর উপজেলার পাকুল্যা গ্রামের মৃত সমেজ উদ্দিনের মেয়ে সুমিতার বিয়ে হয়। দীর্ঘ সংসার জীবনে তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। সম্প্রতি মিনজু মিয়া শ্বশুরবাড়ির ওয়ারিশের সম্পত্তি নিতে স্ত্রীকে চাপ দেন। এ নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হতো। কয়েকদিন আগে স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়েও দিয়েছিলেন মিনজু।

পরবর্তীতে শনিবার কৌশলে ভগ্নিপতি আমির হোসেনের মাধ্যমে স্ত্রীকে বাড়িতে ডেকে পাঠান মিনজু। পরে বোন ববিতা ও মা হালিমাকে সঙ্গে নিয়ে শনিবার স্বামীর বাড়িতে আসেন সুমিতা। রাত ২টার দিকে আবার সম্পত্তি নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শাশুড়ি ও শ্যালিকার সামনেই ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে সুমিতাকে হত্যা করেন মিনজু। এসময় বাঁধা দিতে গেলে সুমিতার মা হালিমা ও বোন ববিতা আহত হন।

নিহত সুমিতার স্বজনরা জানান, শ্বশুরবাড়ির ওয়ারিশের সম্পত্তির জন্য প্রায়ই মিনজু মিয়া সুমিতাকে মারধর করত। শনিবার রাতেও একই বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে সুমিতা বেগমকে হত্যা করে মিনজু মিয়া।

সুমিতার মা হালিমা বেগম বলেন, মেয়েকে আমার সামনেই কুপিয়ে হত্যা করল। আমি কিছুই করতে পারলাম না। আমার মেয়ের চিৎকারে কেউ এগিয়ে আসেনি। ওয়ারিশের সামান্য কিছু টাকার জন্য মিনজু আমাদের তিনজনকেই হত্যা করতে চেয়েছিল।

এ বিষয়ে দেলদুয়ার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন মৃধা বলেন, সুমিতা বেগমের খুনের সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত স্বামী মিনজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের বোন ববিতা বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

অভিজিৎ ঘোষ/এবিএস