বরগুনার বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ পেয়েছেন স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার এক আসামি। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম মো. শেখ রাসেল।

তিনি বামনা উপজেলার জাফ্রাখালী গ্রামের শুক্কুর হাজীর ছেলে। অভিযুক্ত শেখ রাসেল সদ্য ঘোষিত বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির পদ পেয়েছেন।

রোববার (৯ এপ্রিল) রাতে বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক কমিটির সহ-সভাপতির পদ পেয়েছেন শেখ রাসেল নামে একজন। তিনি বামনার চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান অভিযুক্ত। এছাড়াও তিনি বিএনপি পরিবারের সন্তান বলেও জানা গেছে।  

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২০১৮ সালে বরগুনার বামনা উপজেলার জাফ্রাখালী গ্রামের এক ৫ম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করতেন সদ্য ঘোষিত উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ পাওয়া শেখ রাসেল। এতে ওই স্কুলছাত্রী গর্ভবতী হয় এবং সন্তান প্রসব করে। এদিকে উপায়ান্তর না পেয়ে স্কুলছাত্রীর মা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন। পরে গাজীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে গিয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। বর্তমানে মামলাটি চলমান রয়েছে। 

এদিকে একজন ধর্ষণ মামলার আসামি কী করে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির পদ পেল, তা নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জানান, ত্যাগীরা কমিটিতে জায়গা পায় না। আর ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি হয় উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।

বামনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট হারুন অর রশীদ বলেন, এই অভিযুক্ত ছেলেকে আমি চিনি না। তিনি এর আগে ছাত্রলীগ করেছেন কিনা তাও আমার জানা নেই। তার বিরুদ্ধে যদি ধর্ষণ মামলা থাকে তাহলে ছাত্রলীগের সভাপতি তো দূরের কথা তাকে দলের সদস্য পদেও রাখা উচিত হবে না। তবে আমার জানা মতে তার বাবা শুক্কুর হাজী ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ছিলেন।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাকে মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা বলেন, ওই ছেলের নাম প্রস্তাব করেছেন বামনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বামনা উপজেলা চেয়ারম্যান সাইতুল ইসলাম লিটু। তাদের সাথে সমন্বয় করেই তাকে কমিটিতে পদ দেয়া হয়েছে। মামলার বিষয়টি জানা ছিল না, বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেব।

খান নাঈম/আরকে