টানা ১১ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। মাঝারি তাপদাহে জেলার খেটে খাওয়া রোজাদাররা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। বুধবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি ৭ সেলসিয়াস। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে  জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান। 

এদিকে তীব্র গরম ও রোদের তাপের কারণে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। কৃষক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালকরা গরমে অস্থির হয়ে পড়ছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। 

ভ্যানচালক শামসুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত কয়েক দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এতো পরিমাণ রোদের তাপ তা ধারণার বাইরে। খেটে খাওয়া মানুষেরা বাইরে বের হতে পারছেন না। আল্লাহ যদি এমন রোদ দেন তাহলে কিছুই করার নেই। আর কয়েকদিন যদি এমন হয় তাহলে রোজা করা দুষ্কর হয়ে পড়বে। রোজা রেখে সারাদিন কাজকাম করা সম্ভব নয়।

রংমিস্ত্রি স্বপন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই কয়েকদিন যে পরিমাণ গরম পড়ছে তাতে কাজই করা যাচ্ছে না। বাইরে বের হওয়া তো দূরের কথা, ঘরের ভেতর যে ফ্যান চলছে তাতেও কাজ হচ্ছে না।

মাথায় ফেরি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করে বেড়ান আবু বক্কর সিদ্দিক। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাথায় ফেরি করে গ্রাম-গঞ্জে বিক্রি করে বেড়াই। প্রচুর গরম পড়ছে। এই গরমে বেচাকেনা করতেই ভালো লাগছে না।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ সন্ধ্যা ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। টানা ১১ দিন দেশের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলো। চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপমাত্রা আরও কিছু দিন অব্যহত থাকবে। 

আফজালুল হক/আরএআর