'জীবনে প্রথমবারের মতো আমি পাঞ্জাবি এবং আমার সহধর্মিণী শাড়ি পরে বাঙালিদের সঙ্গে বাংলা নববর্ষ পালন করছি। বাঙালিরা নানা রং-বেরঙের পোশাক পরে বাংলার ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তুলেছেন, যেটি আমাদের কাছে অসাধারণ লাগছে। এভাবে নিজের আত্মতৃপ্তি ও আনন্দের কথা প্রকাশ করছিলেন ইউরোপের ইথিওপিয়া দেশের নাগরিক এরনেস্তাস (৩০) ও আমান্ডা (২৭)।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখের দিন সকালে যশোর টাউন হল ময়দানে হঠাৎ দেখা মেলে এই বিদেশি দম্পতির। নিজেদের ফোন, ক্যামেরায় বাঙালির সাজ, কারুকার্য এবং ঢাকের তালে তালে নৃত্য ধারণ করতে দেখা যায় তাদের। আবার অনেকে এ বিদেশি দম্পতির সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করছেন। আবার অনেকে সেলফি তুলতে ব্যস্ত। তারা যশোর আইটি পার্ক হোটেলের অতিথি। 

এরনেস্তাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাঙালিরা অনেক আন্তরিক। বাঙালির ঐতিহ্য যেমন সুন্দর বাঙালিদের মানসিকতাও অনেক সুন্দর। আমি বাংলাদেশে বেড়াতে এসে প্রথমবারের মতো পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে যোগদান করলাম। সবাই আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে আপন করে নিয়েছে।

এরনেস্তাসে'র সহধর্মিণী আমান্ডা বলেন, আমি পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে আসবো বলে বাঙালিদের মতো করে লাল-সাদা শাড়ি পরেছি। বাঙালিদের সঙ্গে মিশতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে। বাংলা নববর্ষ উদযাপন সত্যিই অনেক আনন্দের।

এর আগে শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে যশোর টাউন হল ময়দানে সুরবিতান সঙ্গীত একাডেমির আয়োজনে নববর্ষের স্বাগত অনুষ্ঠান শুরু হয়। একই সঙ্গে সকাল ৮টা থেকে যশোর পৌর উদ্যানে উদীচী শিল্প গোষ্ঠি যশোর জেলা শাখার আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে নাচ, গান, কবিতা পরিবেশন করেন শিশু ও শিল্পীরা। এরপর বেলা ১০টার দিকে টাউনহল ময়দান থেকে সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো একত্রে বাংলা নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করে। মঙ্গল শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি, জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, জেলা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি ও দৈনিক কল্যাণের সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা একরাম-উদ-দৌলা প্রমুখ।

এ্যান্টনি দাস অপু/এমএএস