টানা কয়েকদিনের তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে রাজশাহীর জনজীবন। রোদে কোথাও স্বস্তি নেই। পথে-ঘাটে শ্রমজীবী মানুষদের দুর্ভোগ বেড়েছে বহুগুণে। এর মধ্যে রাজশাহীতে কমেছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। একদিনের ব্যবধানে শনিবার (১৫ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমেছে ১ দশমিক ১ ডিগ্রি।

এদিন জেলায় তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি। তাপমাত্রা কমার ফলে দুই দিন পর বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন রাজশাহীর আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগারের কর্মীরা।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সেদিন আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগার সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে। তবে চলতি বছরের একই দিনে তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গত বছরের তুলনায় ১ দশমিক ৭ ডিগ্রি কম। রোববারের (১৬ এপ্রিল) আবহাওয়ার তথ্য পাওয়া যাবে বিকেল তিনটার পর।

চারতলা বাড়ির ছাদে কাজ করছেন হৃদয় ইসলাম। তিনি বলেন, রোদে পায়ের নিচের লোহার প্লেস সিট গরম হয়ে আছে। মাথার উপরে রোদের গরম। গরমে পা ফেলা যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় কাজ করতে হচ্ছে। তবে আজ একটু তাপমাত্রা কম মনে হচ্ছে, মেঘলা আকাশ। তবে চারতলা ভবনের নিচে নেমে আরাম করতে পারছি না, কারণ ঠিকাদার দেখলে বকাবকি করবে। আর নিচে নেমে উঠার মত কারও শক্তিও নেই। তাই কষ্ট করে হলেও থাকতে হচ্ছে।

নগরীর শিরোইলের একটি বহুতল ভবনে ঢালাইয়ের কাজ করছেন শামীম ইসলাম। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘এখানে পাইলিং এর কাজ শেষ হয়েছে। এখন পাইলিং ভাঙ্গার কাজ করতে হচ্ছে গ্রাউন্ড ফ্লোরে ঢালাইয়ের জন্য। পাথরের ঢালাইয়ের উপরে দাঁড়িয়ে ভাঙ্গতে হচ্ছে পাইলিং। পায়ের নিচে গরম, আর মাথার উপরে রোদের গরম। কোথায় একটু ছায়া নেয়। শুধু রোদ, আর রোদ।’

আবহাওয়া পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম বলেন, সকালের দিকে আকাশে হালকা মেঘ ছিল। সে কারণে দুপুর পর্যন্ত রোদের তেমন তাপ ছিল না। বিকেল তিনটার দিকেও মেঘলা আকাশ লক্ষ্য করা গেছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী দুই দিন পরে বৃষ্টিপাত হতে পারে।

শাহিনুল আশিক/এবিএস