রমজান মাসের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে চলছে সুনসান নীরবতা। এবার ঈদের টানা ছুটিতে সেই নীরবতা ভাঙার তোড়জোর শুরু হয়েছে। ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের বরণে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যান্য বছরের মতো এবারের ঈদেও দর্শনার্থীদের আগমন বেশি হবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের। এই সময়ে এক হাজার কোটি টাকা আয় হবে বলে আশা করছেন তারা।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের সব প্রস্তুতি শেষ প্রান্তে। এবার ঈদে ফেডারেশনভুক্ত আবাসিক হোটেল-মোটেল গেস্টহাউসে ৩০-৪০ শতাংশ পর্যন্ত বিশেষ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এবার ঈদে পাঁচ দিন সরকারি ছুটি রয়েছে। আমাদের হোটেলগুলোতে এরই মধ্যে অনলাইনে বুকিং শুরু হয়েছে। এবার প্রতিদিন গড়ে ৭০-৮০ হাজার পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসবেন। বৈশাখের উত্তাল সাগর পর্যটকদের দেবে ভিন্ন আমেজ। এই সময়ে এক হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যবসা হবে বলে আশা করছেন তিনি।

তারকামানের হোটেল রয়েল টিউলিপের এজিএম নাদিব চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের হোটেলে আগাম ৬০ ভাগ বুকিং আছে। ঈদের আগে শতভাগ বুকিং সম্পন্ন হবে। এবারের পহেলা বৈশাখে আমরা তেমন পর্যটকের সাড়া পাইনি। তবে ঈদে টানা ছুটি থাকায় আমরা এখন থেকে পর্যটকদের সাড়া পাচ্ছি এবং আমরাও পর্যটক টানতে বিশেষ ছাড় দিচ্ছি।

কক্সবাজারের খাবারের জন্য বিখ্যাত ‘শালিক রেস্তোরাঁর’ মালিক নাছির উদ্দীন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইতোমধ্যে আমরা রেস্তোরাঁর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। পর্যটক টানতে দেশী খাবারের আইটেম বাড়িয়েছি। আশা করি অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ব্যাবসা ভালো হবে।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার শেহরিন আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের বরণ করতে আমরা প্রস্তুত। ইতোমধ্যে সমুদ্র সৈকতসহ গুরুত্বপূর্ণ বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে টুরিস্ট পুলিশের তৎপরতা শুরু হয়েছে।

তিনি আরও  জানান, ট্যুরিস্ট পুলিশ সৈকতের প্রবেশপথে তল্লাশি চৌকি স্থাপন, সৈকতে পোশাকধারীর পাশাপাশি সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া সৈকতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য দল গঠন করা হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের পর্যটক সেলের ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় আবারও চিরচেনা রূপে ফিরবে সৈকতসহ পর্যটন এলাকা। আমরা প্রস্তুতি হিসেবে কলাতলী ডলফিন মোড়ে পর্যটকদের সুবিধার্থে হেল্প বুথ স্থাপন করেছি। এই বুথে পর্যটকদের সকল সুযোগ সুবিধা মিলবে। এছাড়া খাবার ও রুমের অতিরিক্ত মূল্য আদায় করার অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমজেইউ