কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে দুর্ঘটনা কবলিত সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত বগি, ইঞ্জিন এবং মালবাহী ট্রেনের চূর্ণ হওয়া কনটেইনার উদ্ধারের কাজ চলছে। সোমবার (১৭ এপ্রিল) ভোর থেকে এ উদ্ধার কাজ শুরু হয়। ট্রেনের ৭টি বগির মধ্যে ২টি বগি উদ্ধার করা হয়েছে। 

এ দুর্ঘটনায় ৩ এবং ৪ নম্বর লাইন (লুফ লাইন) ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রধান দুটো লাইনের (আপ এবং ডাউন লাইনের) ক্ষতি হয়নি। ফলে এই লাইন দুটি দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। 

সোমবার দুপুরে ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য জানিয়েছেন হাসানপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মঙ্গি মার্মা।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনা ঘটার ঘণ্টা তিনেকের মধ্যেই আমরা ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করেছি। রাতের বেলা উদ্ধার কাজ শুরু করা যায়নি। সোমবার ভোর থেকে শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ। এদিন ভোরবেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া জংশন থেকে আরও একটি রিলিফ ট্রেন এসে পৌঁছানোর পর উদ্ধার কাজ শুরু হয়। দুটো রিলিফ ট্রেন এই উদ্ধার কাজ করছে। কখন নাগাদ উদ্ধার কাজ শেষ হবে তা বলা যাচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্ত বগিগুলো লাইনচ্যুত হয়ে লাইনের পাশে ঝোঁপের মধ্যে পড়েছে। এগুলো উদ্ধার সময়ের ব্যাপার। তবে উদ্ধার টিম সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। 

উদ্ধার কাজ দেরিতে শুরু হওয়ার বিষয়ে স্টেশন মাস্টার মঙ্গি মার্মা জানান, দুর্ঘটনার ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সিঙ্গেল লাইন দিয়ে বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়া ট্রেনগুলো পাসিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। রিলিফ ট্রেন আসতে একটু সময় লেগেছে। তাছাড়া রাতের বেলা আলো স্বল্পতার কারণে ভোর ৬টা থেকে উদ্ধার কাজ শুরু হয়।

প্রসঙ্গত, রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার হাসানপুর রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়। মালবাহী ট্রেনের পেছনের কন্টেইনার চূর্ণ হয়ে যায়। আহত হন ২০-৩০ জন যাত্রী। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন। রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম এবং পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান। এখন পর্যন্ত কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। 

আরিফ আজগর/আরকে