রাজশাহীতে এক দিনের ব্যবধানে বেড়েছে ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা
পাবনার ঈশ্বরদীতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় ঈশ্বরদীতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই রাজশাহী বিভাগের মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এদিন রাজশাহীতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে রাজশাহী ও ঈশ্বরদীতে যে তাপমাত্রা বিরাজ করছে এটিই মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানিয়েছেন রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক রাজিব খান।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, দেশের মধ্যে ঈশ্বরদীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এটি ঈশ্বরদীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তপামাত্রা। তাপমাত্রার দিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জায়গায় রয়েছে রাজশাহী। আজ রাজশাহীতে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া বিকেল ৩টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল মাত্র ১৮ শতাংশ।
এছাড়া চলতি মাসে একটানা ১১ দিনের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঊর্ধ্বগতির দিকে ছিল। এর মধ্যে একটানা চার দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রির ওপরে। আর বাকি দিনগুলো ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রার নিচে থাকলেও ৩৭ থেকে ৩৯ ডিগ্রির ঘরে ছিল। এছাড়া ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে চলতি বছরের একই দিনে তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গত বছরের তুলনায় ১ দশমিক ৭ ডিগ্রি কম।
বিজ্ঞাপন
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি, শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি, বুধবার তাপমাত্রা ছিল ২৯ দশমিক ১ ডিগ্রি এবং সোমবার ও মঙ্গলবার ছিল ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজশাহীতে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে রোদ আগুন হয়ে ঝরছে। বাতাস নেই, নড়াচড়া বন্ধ রয়েছে গাছের পাতার। পথঘাট উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাইরে বের হচ্ছে না। অনেকেই ঈদের কেনাকাটা ইফতারের পর করছেন। তবে শ্রমজীবী মানুষকে ঠিকই বৈরী পরিবেশের ভেতর কাজ করতে হচ্ছে।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক রাজিব ইসলাম বলেন, রোদ আর গরম সব জায়গায়। কোথাও শান্তি নেই। সড়কে গাড়ি চালালে মনে হচ্ছে আগুনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। গাড়ি চালানোর সময় ট্রাক বা বাসের বাতাস লাগলে মনে হচ্ছে আগুনের ঝাপটা লাগছে।
জিয়ারুল ইসলাম রানা বলেন, চাকরি করি। অফিসে যেতেই হবে। কি রোদ, আর কি গরম। রোজা থেকে বাইরে বের হলে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা উঠলে গরম বাতাসে মুখ চোখ আরও শুকিয়ে যাচ্ছে।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক রাজিব খান বলেন, কয়েকদিন থেকে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছিল। সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই হিসেবে রাজশাহী ও পাবনার ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা বেশি।
শাহিনুল আশিক/আরএআর