রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। শনিবার (১৫ এপ্রিল) রাত থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। সোমবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লি. (বিআইএফপিসিএল) এর উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আনোয়ারুল আজিম বলেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে ১৫ এপ্রিল রাত থেকে কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। আশাকরি দ্রুততম সময়ের মধ্যে আবারও উৎপাদন শুরু হবে।

এছাড়া কয়লা সংকট নেই দাবি করে তিনি আরও বলেন, বর্তমানে কেন্দ্রে কোনো কয়লা সংকট নেই। কেন্দ্রে পর্যাপ্ত কয়লা মজুদ রয়েছে। বেশকিছু কয়লা আমদানি করা হয়েছে। যা এখন পথে রয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেগুলো সমুদ্র পথে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এসে পৌঁছাবে।

এদিকে, হঠাৎ করে রামপাল তাপবিদ্যু কেন্দ্র বন্ধ হওয়ায় প্রভাব পড়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহের ওপর। বাগেরহাটসহ ওই অঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০১০ সালের আগস্টে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) এবং ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় তাপবিদ্যুৎ করপোরেশনের (এনটিপিসি) মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণের বিষয়ে সমঝোতা হয়। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি এনটিপিসির সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী গঠন করা হয় বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল)।

পরবর্তীতে রামপাল উপজেলার রাজনগর ও গৌরম্ভা ইউনিয়নে ১ হাজার ৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ শেষে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়।২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে পাওয়ার প্ল্যান্টটির ইউনিট-১ এর উদ্বোধন করেন। এরপর গেল ১৭ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র।

এবিএস