ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। রমজানের প্রথম দিকে যশোরের বাজারে তেমন ভিড় না দেখা গেলেও গত ২০ রমজানের পর থেকে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। বিক্রেতাদের হাঁকডাক এবং ক্রেতাদের পদচারণায় সকাল থেকে রাত ১০টা অবধি সরগরম থাকছে যশোরের বড়বাজার। দিনের বেলায় তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করেও বাজারে আসছেন ক্রেতারা। গরমে দিনের বেলায় ভিড় তুলনামূলক কম থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে তিল ঠাঁই পরিমাণ জায়গা থাকে না এ বাজারে। 

ক্রেতারা জানান, ঈদের আর বেশি দিন বাকি নেই, এজন্য পরিবারের সদস্যদের জন্য ঈদের কেনাকটা সেরে নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। সময় কম এজন্য তীব্র গরম আবহাওয়া উপেক্ষা করেও বাজারে ভিড়ের মধ্যে আসছেন তারা। 

আফজাল হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, যশোরে অসহ্য গরম। তবুও কিছু করার নাই। ঈদের আর বেশি দিন বাকি নেই, এজন্য গরম উপেক্ষা করে কেনাকাটা করতে চলে এসেছি। দিনে এলে তাপমাত্রা বেশি, রোজায় গরমে অসুস্থ হয়ে পড়তে হয়, আবার সন্ধ্যার পর প্রচুর ভিড় হয় বাজারে। 

পারভেজ নামের এক ক্রেতা বলেন, প্রবাস থেকে ফিরেছি, কিছু কেনাকটা বাকি রয়েছে। এজন্য বাচ্চাদের নিয়ে কেনাকাটা করতে বের হয়েছি। এতো দিন তাপমাত্রা কমার অপেক্ষায় বাজারে বের হচ্ছিলাম না। কিন্তু আর বের না হয়ে পারলাম না, ঈদ ঘনিয়ে আসছে তো। দ্রুত কেনাকাটা সারতে হবে। 

শাবিয়া আক্তার নামে এক নারী বলেন, বাজারে নারীদের নজর কেঁড়েছে থ্রি-পিস। এবার হাতের কাজের দেশী থ্রি-পিসের চাহিদা বেশি। আমিও কিনেছি। এছাড়া পরিবারের অনান্য সদস্যদের জন্যও কেনাকাটা সেরে নিয়েছি। আর কিছু কেনাকাটা আছে, সন্ধ্যার পরে আসব বাজারে এখন আর গরমে থাকতে পারছি না। 

ব্যবসায়ীরা জানান, রমজানের প্রথমদিকে বেচাকেনা সন্তোষজনক ছিল না। ফলে দোকানে মাল উঠিয়ে লোকসানের আশঙ্কা করছিলেন তারা। তবে গত ২০ রমজানের পর থেকে ক্রেতাদের ঢল নামতে শুরু করেছে যশোরের বড়বাজারে। এর মধ্যে নারীদের উপস্থিতি সব থেকে বেশি। দেশি-বিদেশি পোশাকের মধ্যে নারীদের এবারের প্রধান আকর্ষন হাতের কাজের দেশী থ্রি-পিস এবং পুরুষদের প্রধান আকর্ষন পাঞ্জাবী, ফতুয়া, কাতুয়া ইত্যাদি। বাজারে নারীদের নজর কাড়া থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকায় এবং পুরুষদের পাঞ্জাবী বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকায়। তবে বাচ্চাদের পোশাকের দাম তুলনামূলক একটু বেশি।

বড় বাজারের ঝিলিক ক্লথের ব্যবসায়ী শাহীন হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এবার ঈদ বাজারের প্রথম দিকে বেচাকেনা নিয়ে আশঙ্কায় ছিলাম। তবে ২০ রমজানের পর থেকে যেমন গরম বেড়েছে তেমন বেচাকেনাও বেড়েছে।

আবির শেখ এক ব্যবসায়ী বলেন, দিনে ক্রেতা কম, রাতে ক্রেতা বেশি। রাতের বেলায় বেচাকেনা করতে হিমশিম খেতে হয়। সব মিলিয়ে শেষ মুহুর্তে কেনাবেচা ভালো চলছে।

এ্যান্টনি দাস অপু/আরকে