ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে বুধবার (১৯ এপ্রিল) থেকে ছুটি হতে যাচ্ছে দেশের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। তবে আজ থেকেই নাড়ির টানে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১ জেলার মানুষ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ পার হয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। তবে ফেরিঘাটে পর্যাপ্ত ফেরি থাকলেও নেই পারাপারের যানবাহন। ফলে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে যানবাহনের অপেক্ষায় রয়েছে ফেরি।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষদের রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট। প্রতি বছর ঈদের সময় এই ঘাট পার হয়ে বাড়ি ফেরেন ওই অঞ্চলের মানুষ। তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ অনেকটাই কমে গেছে।

এবার ঈদে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে নৌরুটে ছোট-বড় মিলে ২০টি ফেরি নৌবহরে যুক্ত থাকবে। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশেন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য শাখার উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঘাট সূত্রে জানা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে নিরাপদে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ২০টি ফেরি, আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ৬টি এবং নাজিরগঞ্জ-ধাওয়াপাড়া নৌরুটে ৩টি ফেরি চলাচল করবে। এছাড়া পাটুরিয়া-আরিচা নৌরুটে ৩৩টি যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করবে। আজ সকালের দিকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা হালকা বেড়েছিল। তবে নৌবহরে পর্যাপ্ত ফেরি ও লঞ্চ থাকায় ভোগান্তি ছাড়াই এসব যাত্রী ও যানবাহন নদী পার হয়। এই প্রতিবেদেন লেখা পর্যন্ত পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় অপেক্ষমাণ কোনো যাত্রী ও যানবাহন নেই বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য শাখার উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদকে সামনে রেখে ঘাট কর্তৃপক্ষ প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আমরা ঈদে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনগুলোকে নিরাপদে নৌরুট পারাপার করতে প্রস্তুত। আজ সকালের দিকে কিছু যাত্রী ও যানবাহন ছিল, তবে তা ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পার করা হয়। এই মুহূর্তে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট-বড় মিলে ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। এবারের ঈদযাত্রায় ফেরিঘাট এলাকায় ভোগান্তি ছাড়াই যানবাহন ও ঘরমুখো মানুষ নৌরুট পার হতে পারবে বলে আশা করছেন তিনি।

সোহেল হোসেন/এমজেইউ