সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ফরিদপুরের ১৩ গ্রামে ঈদ উদযাপন
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার ১৩ গ্রামের তিন সহস্রাধিক মানুষ শুক্রবার (২১ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে। বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড়, সহস্রাইল, মাইটকুমড়া, ভুলবাড়িয়া, রাখালতলী, বারাংকুলা, দড়ি সহস্রাইল এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলার ইছাপাশা ও শুকুরহাটাসহ ১৩টি গ্রামে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে।
এবার ঈদে মোট চারটি জামাতে প্রায় সাড়ে সাত শ জনের মতো মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। সকাল ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় শেখর ইউনিয়নের মাইটকুমরা গ্রামে। এতে প্রায় ২৫০ জন মুসল্লি অংশ নেন। সকাল সাড়ে ৮টায় একই গ্রামে আরেকটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অংশ নেন ১১০ জন মুসুল্লি। এরপর তৃতীয় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় রাখালতলী গ্রামে। এটিও সকাল সাড়ে ৮টায় ১১০ জন মুসুল্লির অংশগ্রহণে শেষ হয়। সর্বশেষ চতুর্থ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সহস্রাইল দায়রা মসজিদে। সকাল ১০টার জামাতে ওই মসজিদে আড়াই শ থেকে তিন শ মুসল্লি অংশ নেন।
বিজ্ঞাপন
আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বোয়ালমারীর কাটাগড় গ্রামের বাসিন্দা মাহিদুল হক। তিনি জানান, তাদের পূর্বপুরুষ থেকে তারা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার মির্জাখিল পীরের তরিকাপ্রাপ্ত চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার হযরত ইয়াছিন আলী (রহ.) পীরের অনুসারী। যারা মির্জাখিল পীরের অনুসারী তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করে থাকেন।
তিনি বলেন, সব মিলিয়ে হাজার তিনেক মানুষ আছে যারা চট্টগ্রামের ওই পীরের অনুসারী। আগে প্রায় ২০ হাজার মানুষ ছিল। নতুন প্রজন্মের অনেকে এ নিয়ম মানতে চায় না।
বিজ্ঞাপন
মাহিদুল হক জানান, প্রায় শত বছর ধরে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও দুই ঈদ পালন করে আসছেন তারা। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের সাদ্রা হামিদিয়া দাখিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ আবু ইছহাক ১৯২৮ সাল থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে সর্বপ্রথম ধর্মীয় রীতিনীতি প্রচলন শুরু করেন।
জহির হোসেন/আরএআর