ঈদের ছুটি কাটাতে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ও পরিবার নিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি খ্যাত সিলেটে ছুটে এসেছেন পর্যটকরা। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগ করছেন তারা। ঈদের দ্বিতীয় দিন পর্যটকদের ঢল নেমেছে সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথরে। 

সিলেট শহর থেকে মাত্র ৩২ কিলোমিটার দূরত্বের সাদাপাথর স্থানীয় লোকজন ও পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষ তালিকায় রয়েছে। ধলাই নদীর শীতল পানির স্পর্শ নিতে মানুষজন ছুটে আসে এখানে।

কুমিল্লা থেকে আসা ময়নুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি আজ ভোরে কুমিল্লা থেকে রওয়ানা দিয়ে দুপুরে সিলেটে আসি। হোটেলে একটু বিশ্রাম নিয়ে বিকেলে সাদাপাথরে এসেছি। সাদাপাথরের ধলাই নদীর শীতল স্পর্শ আমার মনকে চাঙ্গা করে দিয়েছে।

সাদা পাথরের একদিকে রয়েছে ভারত আর অন্যদিকে বাংলাদেশ। মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে ধলাই নদী। নদীর দুই পাড়ে সারি সারিভাবে রয়েছে অসংখ্য সাদা রঙের পাথর। ওপরে নীল আকাশ আর তার ঠিক নিচের সবুজ পাহাড় বরাবরই পর্যটকদের মুগ্ধ করে।

ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা আব্দুল্লাহ বিন ওয়াজেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাদাপাথর এলাকা এক কথায় অসাধারণ। প্রকৃতি এতো সুন্দর এখানে না আসলে আমি বুজতাম না। সবুজ পাহাড়ের বুক চিরে ভারত থেকে বয়ে আসা ধলাই নদীর পানির শীতল স্পর্শে আমি পুরো মুগ্ধ।

সাদাপাথর ঘুরে শিউলি বেগম বলেন, এখানকার পরিবেশ অপরূপ। যে কেউ এখানে আসলে মন ভালো হয়ে যাবে। এটি সিলেটের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা। আমি এই জায়গার প্রেমে পড়ে গেছি।

পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী মিডিয়া ফোকাল কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর শ্যামল বণিক ঢাকা পোস্টকে বলেন,পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে তৎপর রয়েছে জেলা পুলিশ। সিলেটের সব পর্যটন স্পটে পর্যটকদের তদারকির জন্য একজন করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিয়োজিত আছেন। সাদাপাথরে আজ কয়েক হাজার লোক ঘুরতে গিয়েছে। আমাদের বেশ কয়েকটি টিম তাদের সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে আমরা সতর্ক রয়েছি। এখন পর্যন্ত পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দে ঘুরাফেরা করছেন।

মাসুদ আহমদ রনি/আরএআর