পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান

বরগুনার আমতলীতে অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় এক সাংবাদিকের বাসার পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে আমতলী পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে। 

গত রোববার (২৩ এপ্রিল) আমতলী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাংবাদিক মনিরুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মনিরুল ইসলাম বিডিলাইভ২৪.কম নামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের বরগুনা সংবাদদাতা ও দৈনিক কালবেলার উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২১ এপ্রিল আমতলী পৌরসভায় টিসিবির আওতায় কার্ডধারী পরিবার ২ হাজার ৩৬২ জনের মধ্যে ১ হাজার ৭৭২ পরিবারকে টিসিবির পণ্য দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে দেখা যায় টিসিবির পণ্য বিতরণের ব্যানার টানানোর কথা থাকলেও সেটা না টানিয়ে মেয়রের ঈদ উপহারের ব্যানার টানিয়ে টিসিবির পণ্য বিতরণ করা হয় এবং টিসিবির ১ হাজার ৭৭২ এর পরিবর্তে ১ হাজার ৭৬২ পরিবারকে মেয়রের ঈদ উপহার বলে ভুল তথ্য দিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় খবর প্রচার করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ ও বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েছেন পৌরসভার সাধারণ মানুষ। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেন মনিরুল ইসলাম। 

এরপর পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের নির্দেশে ২৩ এপ্রিল দুপুর থেকে ওই সংবাদকর্মীর পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পানির বিল বকেয়া না থাকার পরেও বিনা নোটিশে পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় বিপাকে পড়েছে পরিবারটি।

সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম বলেন, সংবাদ প্রকাশের জের ধরে আমতলীর মেয়র মতিয়ার রহমানের নির্দেশে আমার বাসার পানির সংযোগ নোটিশ ছাড়া বিচ্ছিন্ন করা হয়। চলতি মাসের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পানির বিল জমা দেওয়ার শেষ তারিখ থাকলেও কোনো প্রকার নোটিশ না দিয়ে বন্ধের দিন এসে আমার বাসার পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এটি সম্পূর্ণ অমানবিক এবং অনৈতিক। বিষয়টি আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম স্যারকে ফোন করে অবহিত করেছি।

আমতলী পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রাহকের যদি পানির বিল বকেয়া থাকে তাহলে আগে তাকে নোটিশ দেওয়ার কথা। নোটিশ ছাড়া ছুটির দিনে কীভাবে গ্রাহকের পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এটা আমার জানা নেই।

এ বিষয়ে আমতলীর পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, ওই সাংবাদিক ছিলেন পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী। অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অপরাধে তাকে বাদ দেওয়া হয়। তার পানির বিল বকেয়া ছিল, তাই লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি নিজে ইদসামগ্রী বিতরণ করেছি। সবাইকে সেমাই, দুধ ও নগদ টাকা দিয়েছি। এটি নিয়ে তিনি ভুয়া নিউজ করেছেন।

খান নাঈম/এমএএস