বিএসএফের গুলিতে নিহত আব্দুল মুমিন বাপ্পার মরদেহ দেশে আনার দাবিতে বিজিবি ক্যাম্প ঘেরাও করেছেন এলাকাবাসী

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ফুলতলা বটুলি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত আব্দুল মুমিন বাপ্পার মরদেহ দেশে আনার দাবিতে বিজিবি ক্যাম্প ঘেরাও করেছেন এলাকাবাসী।

সোমবার (২২ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে বিজিবির ফুলতলা ক্যাম্প ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন তারা। স্থানীয় ইউপি সদস্য ইমতিয়াজ গফুর মারুফ ক্যাম্প ঘেরাওয়ের বিষয়টি জানিয়েছেন। 

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিহত বাপ্পার মরদেহ দেশে আনার দাবিতে বিজিবি ক্যাম্প ঘেরাও করেছেন এলাকাবাসী। যতক্ষণ পর্যন্ত মরদেহ দেশে না আসবে, ততক্ষণ তারা অবস্থান করবেন। বিজিবির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। বিজিবির ক্যাম্প কমান্ডার বলেছেন, ঘটনাস্থলে আসছেন। এলাকাবাসীর সঙ্গে আলোচনা করে মরদেহ দেশে আনার ব্যবস্থা করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার ভোরে বটুলি সীমান্তের বাংলাদেশি পিলার ৮২৩-এর বিপরীতে ভারতীয় কাঁটাতারের বেড়ার অভ্যন্তরে রাগনা চেকপোস্টের কাছাকাছি স্থানে আব্দুল মুমিন বাপ্পাকে (৩০) গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। বাপ্পা ওই এলাকার আব্দুর রউফের ছেলে।

বিজিবির ফুলতলা ক্যাম্প ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী

বাপ্পা গরুর ব্যবসা করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হন তিনি। দুদিন পেরিয়ে গেলেও মরদেহ ফেরত দেয়নি বিএসএফ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনেরা।

বাপ্পা মিয়ার বাবা আব্দুর রউফ বলেন, ছেলের মরদেহ ফেরত চাই। মরদেহ দেশে আনার বিষয়ে বিজিবির কাছে আবেদন করলে গ্রহণ করেনি। বিজিবির কাছে অনুরোধ করছি, ছেলের মরদেহ দেশে আনুন।

ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইমতিয়াজ গফুর মারুফ বলেন, দুদিন পেরিয়ে গেলেও বাপ্পার মরদেহ দেশে আনার উদ্যোগ নেয়নি বিজিবি। এজন্য ক্যাম্প ঘেরাও করেছেন এলাকাবাসী।

বিজিবির ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ওপর থেকে নির্দেশ এলে মরদেহ দেশে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ওমর ফারুক নাঈম/এএম