কক্সবাজারের উখিয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজ আহম্মদ। এই বোরো মৌসুমে এক একর জমি বর্গা নিয়ে চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফসলও বেশ ভালো হয়েছে। কয়েক দিন আগেই সকল ধান পেকে গেলেও শ্রমিকের অভাবে সোনালি ফসল ঘরে তুলতে পারছিলেন না জাতির এই সূর্য সন্তান।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজ আহম্মদের জমির পাকা ফসল ঘরে তুলতে না পারার খবর পান উখিয়া উপজেলা যুবলীগের নেতা ও হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে যুবলীগের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজ আহম্মদের ধান কাটতে যান চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী। সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত একটানা কাজ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজ আহম্মদের পাকা ধান ঘরে তুলে দেন।

চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরীর এমন উদ্যোগে অনেক খুশি বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজ আহম্মদ। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, শ্রমিকের অভাবে পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছিলাম না। এই ধান নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে খুব চিন্তিত ছিলাম। একদিকে বৃষ্টির আশঙ্কা অন্যদিকে পাকা ধানে পোকার আক্রমণে বেকায়দায় ছিলাম। উখিয়া উপজেলা যুবলীগের নেতা ইমরুল চেয়ারম্যান আজ আমার পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়ে চিন্তামুক্ত করলেন।

উখিয়া উপজেলা যুবলীগের নেতা ও হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে আমাদেরকে কৃষকের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় যুবলীগ। আমরা উখিয়া উপজেলা যুবলীগ বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজ আহম্মদের পাকা ধান নিয়ে সমস্যার কথা জানতে পারি। তীব্র রোদের মাঝেও আজকে উখিয়া উপজেলা যুবলীগের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী মাঠে ধান কেটেছি। বীর মুক্তিযোদ্ধার পাকা ধান নষ্ট হওয়ার আগেই তার ঘরে এনে দিতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।

সাইদুল ফরহাদ/এমজেইউ