নওগাঁর মহাদেবপুরে যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ১৭ জন।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কের চকগৌরি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

মহাদেবপুর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ঢাকা পোস্টকে দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন- মহাদেবপুর উপজেলার খাজুড় ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের সমশের আলীর ছেলে পিকআপচালক হারুন মণ্ডল (৩৫) এবং বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার সারপুকুর গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে মজিবর রহমান (৬০)।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আলিফ পরিবহন নামের একটি বাস ৩০ জন যাত্রী নিয়ে নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়ক হয়ে রাজশাহীর দিকে যাচ্ছিল। অপরদিকে বিপরীত দিক থেকে একটি পিকআপ ছয়জন ধান কাটার শ্রমিক নিয়ে নওগাঁ শহরের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে মহাদেবপুর উপজেলার চকগৌরি এলাকায় পৌঁছালে বাস ও পিকআপটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাসের ধাক্কায় পিকআপের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন পিকআপের চালক হারুন মণ্ডল। আহত হন বাস ও পিকআপে থাকা যাত্রীরা। আহত ১৮ জনকে উদ্ধার করে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে আরও একজনের মৃত্যু হয়।

নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত আরএমও) ডা. আবু আনছার আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১৮ জনকে ভর্তির জন্য আনা হলে একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এরমধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি ১৪ জন হাসপাতালে চিকিসাধীন রয়েছেন।

মহাদেবপুর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখন পর্যন্ত পিকআপের চালকসহ ২ জন যাত্রী মারা যাওয়ার বিষয়টি আমার জানা আছে। আহতদের অনেকের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে নিহতদের মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখেছিলেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে যান চলাচল স্বাভাবিক করেছি। দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও পিকআপটি জব্দ করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

এমজেইউ