এরশাদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে কেঁদেছেন বিদিশা

জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রয়াত চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে কেঁদেছেন তার সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক। তার অশ্রুসিক্ত চোখের দিকে তাকিয়ে পুত্র এরিক এরশাদও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন বিদিশা।

সোমবার (২২ মার্চ) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে ছেলে এরিককে সঙ্গে নিয়ে রংপুরের পল্লীনিবাসে এরশাদের কবর জিয়ারতের সময় বিদিশাকে কাঁদতে দেখা যায়।

এরশাদের ৯২তম জন্মদিন উপলক্ষে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্টের নেতাদের সঙ্গে এরশাদের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন বিদিশা ও এরিক এরশাদ। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন।

রংপুরের পল্লীনিবাসে এরশাদের কবর জিয়ারতের সময় বিদিশাকে কাঁদতে দেখা যায়

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের দলের কাউকে মানেন না বলে অভিযোগ করে বিদিশা সিদ্দিক বলেন, জাতীয় পার্টির অবস্থা বিধ্বস্ত। মহান আল্লাহ জানেন; কীভাবে জাতীয় পার্টি ঠিক হবে। এখন দলের দায়িত্বে যিনি আছেন; তিনি নড়তে-চড়তে পারেন না। অঙ্গসংগঠনের অবস্থাও ভঙ্গুর হয়ে গেছে। দলের কেউ জেলা-উপজেলায় যায় না। জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠাতার যে স্বপ্ন ছিল, তা ধ্বংসের পথে। আগে বলেছিলাম, জাপা লাইফ সাপোর্টে। আজ বলছি; দলের অবস্থা বিধ্বস্ত।

এরশাদের জন্মদিন ও মৃত্যুবার্ষিকী জাতীয় পার্টির নেতারা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন দাবি করে বিদিশা বলেন, এরশাদের জন্মদিন উপলক্ষে যেভাবে অনুষ্ঠান করা উচিত ছিল, তা হয়নি। যারা এসব দায়িত্বে ছিলেন; তারা দায়সারাভাবে দিবসটি পালন করেছেন। অথচ আমরা মাসব্যাপী কর্মসূচি দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে জাতীয় পার্টিকে নতুন করে গড়ে তুলতে চাই। সেই লক্ষ্যে কাজও শুরু করেছি। তৃণমূল থেকে মাঠে নেমে কাজ করছি। এখানে ছেলে এরিককে নিয়ে কবর জিয়ারত করতে এসেছি। কোনো রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে আসিনি।

এরশাদের জন্মদিন ও মৃত্যুবার্ষিকী জাতীয় পার্টির নেতারা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন দাবি করে বিদিশা

বিদিশা বলেন, রংপুুুরের মানুষ ও তৃণমূল চাইলে আমি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। আমার নেতৃত্ব যদি সাধারণ মানুষ মেনে নেন; তাহলে আমি প্রস্তুত। আমরা জাতীয় পার্টিকে ঢেলে সাজাতে চাই। সামনের দিনে দলে পরিবর্তন আসছে; তা দেখার জন্য রংপুরবাসী অপেক্ষায় থাকুন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এরশাদপুত্র শাহতা জারাব এরিক এরশাদ, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদ, মহাসচিব আক্তার হোসেন, ট্রাস্টের পরিচালক ও উপদেষ্টা কাজী রুবায়েত হাসান ও জাপা নেতা ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এএম