মাদরাসা সুপারের ভুলে শিক্ষার্থীর দাখিল পরীক্ষা অনিশ্চিত
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে রোববার থেকে। অন্যান্য পরীক্ষার্থীর মতো সকল প্রস্তুতি থাকলেও পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার সুমাইয়া আক্তার নামে এক মাদরাসার ছাত্রীর। পরীক্ষার যাবতীয় ফি জমা দিলেও মাদরাসা সুপারের ভুলে ফরম ফিলাপ হয়নি তার।
ঘটনাটি তেঁতুলিয়া বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের শিলাইকুঠি বালাবাড়ির দাখিল মাদরাসার। সুমাইয়া আক্তার ওই ইউনিয়নের সরকার পাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, প্রায় তিন মাস আগে পরীক্ষার ফরম ফিলাপের জন্য ২ হাজার ৫০০ টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মাদরাসার সুপার বদরুল আলম সরকারের কাছে জমা দেয় সুমাইয়া। সে হিসেবে পরীক্ষার সব প্রস্তুতি নেয় সে। শনিবার সকালে মাদরাসায় পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিতে গিয়ে জানতে পারে তার ফরম ফিলাপই হয়নি। অথচ শনিবার সকালেও প্রবেশপত্রের জন্য তার কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিয়েছেন মাদরাসার সুপার।
আরও পড়ুন : প্রবেশপত্র না পাওয়ায় পরীক্ষার আগের রাতে রাস্তায় শিক্ষার্থীরা
বিজ্ঞাপন
শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার বলে, শনিবার মাদরাসায় প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন নিতে গেলে মাদরাসার সুপার হুজুর জানান, আমার নাকি ফরম ফিলাপ হয়নি। এ জন্য আমাকে এক বছর অপেক্ষা করতে বলেন ও ক্ষমা চান। পরীক্ষা দিতে পারব না বলে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে ফিরে আসি।
সুমাইয়া আক্তারের বাবা গোলাম মোস্তফা জানান, সকালে মেয়ে হাসি মুখে মাদরাসায় গেল রেজিস্ট্রেশন ও প্রবেশপত্র আনতে। গিয়ে জানতে পারে তার ফরম ফিলাপই হয়নি। অথচ যাবতীয় ফি জমা দেওয়া হয়েছে। প্রবেশপত্র আনতে গিয়েও পাঁচশ টাকা নিয়েছেন সুপার। তারপর আবার বলে ফরম ফিলাপ হয়নি। অন্য এক মেয়ের নামের রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। তার বিয়ে হয়ে গেছে এক বছর আগে। এখন কাল যাতে আমার মেয়ে পরীক্ষা দিতে পারে সে ব্যবস্থা করে দিক।
বিষয়টি জানাজানি হলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই এলাকার সচেতন নাগরিক ও অভিভাবক মহল। তারা মেয়েটি যাতে পরীক্ষা দিতে পারে সে বিষয়টি শিক্ষা অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। পাশাপাশি মাদরাসার সুপারের ভুলে যদি মেয়েটি পরীক্ষা দিতে না পারে তাহলে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তাদের।
মাদরাসা সুপার বদরুল আলম সরকার বলেন, আমার মাদরাসার ছাত্রী মোছা. সুমাইয়া আক্তার যাতে পরীক্ষা দিতে পারে সে জন্যই ঢাকা যাচ্ছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের শওকত আলী বলেন, পরীক্ষা দিতে পারবে না তা আগাম বলা যাবে না। মাদরাসা সুপার বোর্ডে যাচ্ছেন সংশোধন করার জন্য, সংশোধন হলে সে পরীক্ষা দিতে পারবে। সংশোধন না হলে এর দায়-দায়িত্ব মাদরাসা সুপার ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উপর পড়বে। তাই লিখিত অভিযোগ পেলে মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসকে দোয়েল/এসকেডি