হেলাল উদ্দীন

পুলিশ কর্মকর্তা স্ত্রীকে মারধরের মামলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হেলাল উদ্দীনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১ মে) দুপুরে নাচোল পৌর এলাকার চেয়ারম্যানপাড়া মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

এর আগে যৌতুকসহ নানা বিষয় নিয়ে হেলাল তার স্ত্রী পুলিশ কর্মকর্তা নাসরিন আক্তারকে মারধর করেন। পরে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে নাসরিন আক্তারকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। এ সময় হেলালকে আটক করা হয়। আহত নাসরিন আক্তার রাজশাহীর বাঘা থানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত।

স্থানীয় বাসিন্দা, প্রতক্ষ্যদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নাচোল থানায় কর্মরত ছিলেন নাসরিন আক্তার। সেই সুবাদে পরিচয় হয় চেয়ারম্যানপাড়ার হেলাল উদ্দীনের সঙ্গে। পরিচয়ের সূত্র ধরে হেলালের সঙ্গে প্রায় ছয় বছর আগে বিয়ে হয় নাসরিন আক্তারের। তাদের সংসারে দুটি সন্তানও রয়েছে। বর্তমানে রাজশাহীর বাঘা থানায় কর্মরত রয়েছেন নাসরিন আক্তার। সম্প্রতি ছুটি নিয়ে স্বামী হেলাল উদ্দীনের বাড়িতে বেড়াতে আসেন নাসরিন আক্তার। পারিবারিক কলহের জের ধরে নাসরিনকে মারধর করেন হেলাল উদ্দিন। পরে পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দেওয়া হয়।

নাচোল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিন্টু রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, কাউন্সিলর হেলাল উদ্দীনের স্ত্রী পুলিশ কর্মকর্তা নাসরিন জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়ে তাকে উদ্ধারে সহায়তা চান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আহত নাসরিন থানায় মামলা করেছেন। দুপুরেই কাউন্সিলর হেলাল উদ্দীনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মধ্যেমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

জাহাঙ্গীর আলম/আরএআর