ময়মনসিংহে ঈদের দিন ভোরে পৃথক স্থানে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন অটোরিকশা চালক হাবিবুর রহমান ও রিকশাচালক সাদেক মিয়া। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম অভিভাবককে হারিয়ে অথৈ সাগরে পড়েছেন তাদের স্বজনরা। নিহত হাবিবুরের স্ত্রী, এক মেয়ে ও পাঁচ ছেলে সন্তান এবং নিহত সাদেকের স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। 

উপার্জনক্ষম এই দুই ব্যক্তির মৃত্যুতে পরিবার দুটি চরম আর্থিক সংকটে পড়েছে। এমন অবস্থায় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাছুম আহাম্মদ ভূঞা।

মঙ্গলবার (২ মে) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে অসহায় দুই পরিবারের সদস্যদের মাঝে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন পুলিশ সুপার। এ সময় তিনি নিহতদের পরিবারের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, ঈদের দিন ভোরে ময়মনসিংহ নগরীর ডিএন চক্রবর্তী রোডে অটোরিকশা চালক হাবিবুর রহমান এবং গোহাইলকান্দি পশ্চিমপাড়ার রিকশাচালক সাদেক মিয়াকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ছিনতাইকারীরা। ওই দুই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুই কলেজছাত্রসহ তিনজনকে ঘটনার আট ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। এ দুটি হত্যা মামলার তদন্তের সময় উপার্জনক্ষম ওই দুই ব্যক্তির মৃত্যুতে পরিবার দুটির আর্থিক দুরাবস্থা ও মানবেতর অবস্থা আমাদের চোখে পড়ে। যা আমাদের হৃদয়ে মারাত্মকভাবে নাড়া দেয়। এরই প্রেক্ষিতে আমি তাদেরকে ডেকে ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সহযোগিতা করেছি।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া পুনাক ময়মনসিংহের পক্ষ থেকে পরিবার দুটোর নারী সদস্যদের সেলাই প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। একই সঙ্গে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলে তাদেরকে আরও কীভাবে সহযোগিতা করা যায় সেই চেষ্টাও করছি।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহা. রায়হানুল ইসলাম, শাহীনুল ইসলাম ফকির (সদর সার্কেল), কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উবায়দুল হক/আরএআর