যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতা হত্যা, পাঁচ আসামি রিমান্ডে

লক্ষ্মীপুরের সাবেক যুবলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমাম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাত আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে পাঁচ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড দিয়েছেন।

এরমধ্যে মশিউর রহমান নিশান ও রুবেল দেওয়ানকে পাঁচ দিন এবং মো. সবুজ, আজিজুল ইসলাম বাবলু ও নাজমুল হোসেন নাজিমের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ মে) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি অঞ্চল চন্দ্রগঞ্জ আদালতের বিচারক আনোয়ারুল কবীর এ আদেশ দেন। এছাড়া এ মামলায় মনির হোসেন রুবেল ও ইসমাইল হোসেন পাটওয়ারীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রিমান্ডপ্রাপ্ত মশিউর রহমান নিশান বশিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। অন্য আসামিরা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের কর্মী ও মামলার প্রধান আসামি আবুল কাশেম জিহাদীর অনুসারী বলে জানা গেছে। আসামিদের মধ্যে সবুজ ও বাবলুকে এর আগেও চার দিনের রিমান্ড দিয়েছিলেন আদালত।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন বলেন, পাঁচ আসামির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলাম। আদালত দুইজনের পাঁচ দিন ও তিনজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এরমধ্যে দুইজনকে দ্বিতীয়বারের মতো রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২৫ এপ্রিল রাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার বাজার এলাকায় জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থল গিয়ে স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা নোমানকে মৃত ঘোষণা করেন। আর সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা নেওয়ার পথে ছাত্রলীগ নেতা রাকিব মারা যান। ২৬ এপ্রিল রাত ১টার দিকে নিহত নোমানের বড় ভাই ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম জিহাদীকে প্রধান করে ১৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলার পর থেকে র‍্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১০ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

হাসান মাহমুদ শাকিল/এমজেইউ