পদ্মায় প্রকাশ্য দিবালোকে গরু ব্যবসায়ীদের ট্রলারে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাতদলের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২ মে) রাতে মুন্সীগঞ্জ সদরের বাঘাইকান্দি গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

এ সময় তাদের থেকে দেশীয় তৈরি ৩টি পাইপগান, ১১ রাউন্ড কার্তুজ ও নগদ ১৫ লাখ ১০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার পদ্মা নদীতে গরু ব্যবসায়ীদের ট্রলারে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

গরু ব্যবসায়ীরা জানান, তারা বিভিন্নস্থান থেকে গরু কিনে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারযোগে মঙ্গলবার মানিকগঞ্জের আরিচা হাটে গরুগুলো বিক্রি করেন। বিক্রি শেষ করে দুপুর ২টার দিকে আরিচা ঘাট থেকে প্রায় ৭৫ জন গরু ব্যবসায়ী একটি ট্রলারে দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা দৌলতদিয়া ঘাটের কাছাকাছি এলে স্পিডবোটে করে একদল সশস্ত্র ডাকাতদল এসে তাদের ট্রলারে আক্রমণ চালায়।

এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা ট্রলারে উঠে প্রথমে ট্রলারের ইঞ্জিন বন্ধ করে দিয়ে সবাইকে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। ট্রলারে থাকা অন্তত ২০ জনকে পিটিয়ে আহত করে। এরপর হত্যার ভয়ভীতি দেখিয়ে ট্রলারে থাকা গরু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গরু বিক্রির প্রায় ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকা লুট করে নেয়।

সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিকুজ্জামান জানান, মানিকগঞ্জের আরিচায় গরু বোঝাই ট্রলারে ডাকাতি করতে যায় একদল ডাকাত। সেখানে নৌ-পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ডাকাত দলটি প্রথমে চাঁদপুরের মোহনপুরে ও পরে মেঘনার শাখা নদী হয়ে বিকেলের দিকে জেলা সদরের বাঘাইকান্দি গ্রামের বাবুল মিয়ার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেয়। এরপর গ্রামবাসী সদর থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ সেখানে পৌঁছে বাবুল বাড়ির বসতঘর থেকে ডাকাত সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

ব.ম শামীম/আরকে