বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর বাদশার বিরুদ্ধে ভিজিডির চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (৩ মে) বেলা ১১টায় কাকড়াতলী বাজারে অবস্থিত জিউধরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চাল বিতরণের সময় এই অভিযোগ তোলেন কয়েকজন ইউপি সদস্য। তখন বস্তায় চাল কম থাকায় উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ বন্ধ করে গুদামে তালা মেরে দেন সরকারি ট্যাগ অফিসার উপ-সহকারি প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম।

এদিকে চাল আত্মসাৎসহ চেয়ারম্যানের অন্যান্য অনিয়মের সঠিক তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ইউপি সদস্যরা।

সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য মায়া মন্ডল বলেন, শুধু চাল নয়, চেয়ারম্যান পরিষদে নানা ধরণের অনিয়ম করেন। আমাদের কোনো কাজে সম্পৃক্ত করেন না। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে সহস্রাধিক মানুষের কাছ থেকে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিয়েছেন। ওই পানির ট্যাংকি বিতরণের রেজুলেশনে আমরা তেমন কেউ স্বাক্ষর করিনি। ইউপি সদস্য হারুন হাওলাদারের স্বাক্ষর জাল করেছেন চেয়ারম্যান।

৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য শাহজাহান মৃধা বলেন, চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর বাদশা টিআর কাবিখা ও সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ না করে টাকা আত্মসাৎসহ নানা ধরণের অনিয়ম ও দুর্নীতি করেন। তার অনিয়মের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্চিত হতে হয়। চেয়ারম্যান আমাকেও একবার মারধর করেছে। চেয়ারম্যানের ‍এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এই জনপ্রতিনিধি।

চাল বিতরণের সময় থাকা সরকারি ট্যাগ অফিসার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর মোরেলগঞ্জ উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম বলেন, বস্তায় চাল কম থাকায় আমি বিতরণ বন্ধ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।

চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর বাদশা বলেন, আমি কোনো দুর্নীতি করিনি। চাল চুরির তো প্রশ্নই আসে না। আমার কয়েকজন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এই ধরণের অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানার পরে জিউধরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সতর্ক করা হয়েছে। ওই ইউনিয়নের কোনো উপকারভোগী নির্দিষ্ট পরিমাণের থেকে কম চাল পেয়েছে এমন অভিযোগ থাকে তাহলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেখ আবু তালেব/আরকে