সড়ক দুর্ঘটনায় মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. ফজলে রাব্বির মৃত্যুর প্রতিবাদে ৫ দফা দাবি নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন তার সহপাঠীরা। রোববার (৭ মে) সকাল ১০টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা মৌলভীবাজার-শমসেরনগর সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। পরে কলেজ প্রশাসন, পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যানের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানান, মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে গত ৫ এপ্রিল সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন ফজলে রাব্বি। পরে তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সরকারি হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেটে প্রেরণ করেন। পরে সিলেটের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ এপ্রিল তার মৃত্যু হয়। ফজলে রাব্বি মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ার কন্ডিশন (আরএসি টেকনোলজি) বিভাগের ৭ম পর্বের ছাত্র ছিলেন।

তার মৃত্যুর প্রতিবাদে রোববার সকাল ১০টা থেকে সহপাঠীরা সড়ক অবরোধ করে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করেন। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, খুনিকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা, কলেজের সামনে স্পিডব্রেকার ও জেব্রা ক্রসিং দেওয়া, কলেজের আশপাশের ফুটপাত ঠিক করে দেওয়া ও পরিবহনের ন্যায্য ভাড়া নির্ধারণ করা। পরে দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ও চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন।

সমাবেশে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, এর আগে আমাদের এক সহপাঠীকে অতিরিক্ত ভাড়া না দেওয়ায় ব্লেড দিয়ে জখম করেছিলো এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক। ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ১০৫টা সেলাই লাগে তার। তখনো আমরা রাস্তায় আন্দোলনে নেমেছিলাম। সবাই আশ্বাস দিয়েছিলেন, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। আমরা বড় অসহায়। অবশেষে রাস্তায় তাজা রক্ত ঝড়িয়ে আমাদের একটি ভাই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল। আজও সবাই আশ্বাস দিচ্ছেন। জানি না এবার দাবিগুলো পূরণ হবে কি না। তাদের আশ্বাসমতো আগামী ১ মাসের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আমরা আবারও রাজপথে নামব।

চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আক্তার উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো আগামী ১ মাসের মধ্যে পূরণ করে দেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেয়।

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মশিউর রহমান বলেন, ফজলে রাব্বির খুনিকে চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

ওমর ফারুক নাঈম/এবিএস