হত্যা মামলায় লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ সম্পাদকসহ ২ জনের সাজা
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে প্রবাসী তোফায়েল হত্যা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা হারুনুর রশিদ হারুনকে ২ বছর ও ইউপি সদস্য ইসমাইলকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৭ মে) দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মুমিনুল হাসান এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত হারুন কমলনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। ইসমাইল উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
বিজ্ঞাপন
বিকেলে বাদীর আইনজীবী জিএইচএম আবদুর নূর ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মিজানুর রহমান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মিজানুর রহমান বলেন, মামলার আসামি ইসমাইলের ৩ বছর ও হারুনকে ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অন্যান্য আসামিদের ১ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। ইসমাইল রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত হারুন পলাতক রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
এজাহার সূত্র জানায়, তোরাবগঞ্জ বাজারে কিছু মালামাল কিনতে গেলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা তোফায়েলের ওপর হামলা করে। আসামি ইসমাইল ধারালো রামদা দিয়ে তোফায়েলের মাথায় আঘাত করে। দ্বিতীয় আসামি হারুন দা দিয়ে তোফায়েলের কপালে আঘাত করে। এ ঘটনায় অন্যান্য আসামিরাও তোফায়েলকে মারধর করে। এতে তোফায়েল মারা যায়। ২০১৭ সালের ১০ অক্টোবর তোফায়েলের স্ত্রী মিনরা বেগম বাদী হয়ে কমলনগর থানায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ২০১৮ সালের ১৯ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কমলনগর থানার পিএসআই মোশারফ হোসেন আদালতে ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ রায় প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত কমলনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুন বলেন, ইসমাইল আমার মামা হয়। তিনি তখন সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিনের সঙ্গে নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতা করেছেন। এজন্য তোফায়েল হত্যা মামলায় আমার মামাকে জড়িয়ে দেওয়া হয়। তার ভাগিনা হওয়ায় আমাকেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার সময় আমি ঢাকায় ছিলাম। পরে মামলাটি মীমাংসা হয়েছিল। কিন্তু মীমাংসাকারীদের সাক্ষী আদালত নেয়নি।
মামলার বাদী মিনরা বেগম জানান, আমার স্বামী তোফায়েল কৃষক ছিলেন। পরে তিনি মালদ্বীপ যান। ২০১৭ সালে ইউপি নির্বাচনের আগে তার স্বামী দেশে আসে। তখন তাকে অভিযুক্তরা হত্যা করে।
হাসান মাহমুদ শাকিল/আরকে