বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান বলেছেন, সব সময়ের জন্য ভারত আমাদের ভালো বন্ধু দেশ। বর্তমানে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে মজবুত সম্পর্ক বিরাজমান থাকায় সীমান্তে আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে যে ছোটখাটো সমস্যা থাকে তা সহজে সমাধান করতে পারি। 

বুধবার (১০ মে) দুপুরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। 

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, আমি মহাপরিচালক হওয়ার পর প্রথম বাংলাবান্ধা সীমান্ত পরিদর্শন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার কমান্ডার শ্রী অজয় সিং-এর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছি। সৌজন্য সাক্ষাতে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধিসহ নানাবিধ বিষয়ে কথা হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্ট বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি আইসিপি স্থান। এখান থেকে ভারত, নেপাল, ভুটান থেকে পাথর ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পণ্য আমাদের দেশে আসছে ও আমাদের দেশে পণ্য সেসব দেশে যাচ্ছে। সে হিসেবে দুই দেশের সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের সদস্যরা আন্তরিক সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে দায়িত্ব পালন করছে। 

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, দেশের চার হাজার ৪২৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সীমান্তে মাদকের ব্যাপারে বিজিবির সতর্ক অবস্থান থাকে। মাদকের বিষয়ে কোথাও কোনো ছাড় নেই। বিজিবির সতর্ক অবস্থানের কারণেই সম্প্রতি টেকনাফ সীমান্তে ২১ কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস) জব্দ করা হয়েছে। এটা এই বাহিনীর বড় অর্জন। তাছাড়া সীমান্তে যারা বসবাস করেন, আমরা তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করি যাতে তারা সীমান্ত আইন লঙ্ঘন না করেন। পাঁচ বছর আগের যে অবস্থা ছিল, তা কিন্তু বর্তমানে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ভবিষ্যতে সীমান্তে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা কীভাবে আরও শক্তিশালী করা যায় সেসব নিয়ে সমন্বয় করে কাজ করে যাব।

এ সময় বিজিবির রংপুরের রিজিয়ন কমান্ডার অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোরশেদ আলমসহ বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও বিএসএফের বিভিন্ন পদের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসকে দোয়েল/আরএআর