কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা হেলাল-এজাজসহ ৮ জন
বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খানসহ আটজন কারামুক্ত হয়েছেন। বুধবার (১০ মে) বিকেলে খুলনা জেলা কারাগার থেকে তারা মুক্ত হন। এ সময় কারাগারের সামনে অপেক্ষায় থাকা নেতাকর্মীরা তাদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন। পরবর্তীতে মিছিল নিয়ে তারা দলীয় কার্যালয়ের সমানে উপস্থিত হন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান, ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোল্লা মফিজুর রহমানসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ ১৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ডুমুরিয়া থানার এসআই তারেক রাইয়ান বাদী হয়ে একটি নাশকতা মামলা করেন। মামলার এজাহারে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতার সৃষ্টির অভিযোগ করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
এই মামলায় আজিজুল বারী হেলাল ও আমির এজাজ খানসহ নেতাকর্মীরা হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের অগ্রিম জামিনে ছিলেন। গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে তারা খুলনার সিনিয়র দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানির জন্য হাজির হন। আদালতের বিচারক মীর শফিকুল আলম ৮ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে মঙ্গলবার (২ মে) আজিজুল বারী হেলালসহ আটজনকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন দেন।
বুধবার (১০ মে) তারা কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন। মুক্তি পেয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আসেন তারা। সেখানে বিকেল সাড়ে ৪টায় পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
সভায় আজিজুল বারি হেলাল বলেন, সরকারের নির্যাতন যত বাড়বে, বিএনপির চলমান আন্দোলন ততই তীব্র হবে। মামলা দিয়ে হামলা চালিয়ে বিএনপির আন্দোলন দমানো যাবে না। অত্যাচার নির্যাতনের তীব্রতা মাথায় নিয়েই বিএনপি রাজপথে নেমেছে, সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঘরে ফিরে যাবে না।
কারামুক্ত অপর নেতা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান বলেন, জেল-জুলুম, হামলা-মামলা ও অত্যাচার করে শেখ হাসিনা গদি রক্ষা করতে পারবে না। সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তিনি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে আগামীর আন্দোলন সফল করার আহ্বান জানান।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে এবং মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় পথসভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি, আবু হোসেন বাবু, স. ম. আব্দুর রহমান, সৈয়দা রেহানা ইসা, খান জুলফিকার আলী জুলু, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, সাইফুর রহমান মিন্টু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, আশরাফুল আলম খান নান্নু, একরামুল হক হেলাল, এস এ রহমান বাবুল, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, মাসুদ পারভেজ বাবু, মো. রকিব মল্লিক, শেখ সাদী, মোস্তফাউল বারী লাভলু, মোল্লা মোশাররফ হোসেন মফিজ, অধ্যাপক মনিরুল হক বাবুল, হাসানুর রশিদ মিরাজ, শেখ তৈয়বুর রহমান, আশরাফুল আলম খান নান্নু, এনামুল হক সজল, বেগ তানভিরুল আজম, চৌধুরী কাওসার আলী প্রমুখ।
মোহাম্মদ মিলন/আরএআর