বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিন্মচাপ উত্তর -উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় মোখায় রূপ নিয়েছে। এটি আগামী ২-১ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

ফলে পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ দেশের অন্যান্য সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর হুশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। 

এদিকে ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বরগুনা জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (১১ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় বরগুনা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করে জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান। 

জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় বরগুনায় মোট ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এসবের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৮৫টি, আমতলীতে ১১১টি, তালতলীতে ৫৩টি, পাথরঘাটায় ১২৪টি, বেতাগীতে ১১৪টি এবং বামনায় ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে মোট ২ লাখ ৬৯ হাজার ৫১০ জন আশ্রয় নিতে পারবেন। এছাড়া জেলায় ৯ হাজার ৬১৫ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে।

দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলায় ২৯৪ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রাখা হয়েছে। দুর্যোগ পরবর্তী জরুরি ত্রাণ বাবদ ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে এবং ১৪২ বান্ডিল ঢেউটিন ও গৃহনির্মাণ ব্যয় বাবদ ৪ লাখ ২৬ হাজার টাকা, ২ হাজার কম্বল ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার মজুদ রয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে একটি জরুরি সাড়াদান কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।

বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বরগুনা উপকূলীয় জেলা হওয়ায় আমরা ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করছি। বরগুনা আড়াই কিলোমিটার বেড়িবাধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে শিগগিরই তা সংস্কার করা হবে।

খান নাঈম/আরকে