উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। বাড়ছে শঙ্কা। মোখা মোকাবিলায় পটুয়াখালীতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ৭০৩টি আশ্রয়ণকেন্দ্র আর ২৬টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষও।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিকেল ৪টায় পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে তার সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ, সিভিল সার্জন ডা. এসএম কবির হাসান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেনসহ জেলার সকল সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলার সকল সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, র‍্যাব, পুলিশ, আনসার, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজ দপ্তরের প্রস্তুতি তথ্য তুলে ধরে।

পটুয়াখালী জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৭০৩টিরও বেশি আশ্রয়ণকেন্দ্র ও ২৬টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রয়েছে। এসব আশ্রয়ণকেন্দ্রে ২ লাখেরও বেশি মানুষ ও গবাদি পশু আশ্রয় নিতে পারবে। সিপিপি সদস্য রয়েছে ৪৩৫টি ইউনিটের প্রতিটিতে ২০ জন‌ করে ৮ হাজার ৭০০ জন, জেলায় রেডক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে ২ শতাধিক। ৭৮টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০১৭০০৭১৬৭২৪।

পটুয়াখালী জেলায় যে‌ সকল উপজেলায় আশ্রয়ণকেন্দ্র রয়েছে- পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ১০২টি, দুমকীতে ২৭টি, মির্জাগঞ্জে ৪৩টি, বাউফলে ১৪০টি, দশমিনায় ৬৩টি, গলাচিপায় ১১৮টি, কলাপাড়ায় ১৫৬টি এবং রাঙ্গাবালী উপজেলায় ৫৪টি। মুজিব কিল্লা আছে- দশমিনায় ৪টি, কলাপাড়ায় ১৯টি ও রাঙ্গাবালীতে ৩টি। জেলার সিপিপি সদস্য রয়েছে- দশমিনায় ১ হাজার ৫৬০ জন, গলাচিপায় ২ হাজার ৭০০ জন, কলাপাড়ায় ৩ হাজার ১৬০ জন ও রাঙ্গাবালীতে ১ হাজার ২৮০ জন। এছাড়া জি আর নগদ অর্থ বাবদ ৮ লাখ ২২ হাজার ৫০০ টাকা, জি আর চাল ৪০০ মেট্রিক টন এবং ১৪৬ বান্ডিল ঢেউটিন ও ৪ লাখ ৩৮ হাজার টাকা মজুদ রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিস, স্কাউটের একাধিক টিম ও বিভিন্ন সেচ্ছাসেবকরা প্রস্তুত রয়েছে। জেলায় মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে ওষুধ রিজার্ভ রাখা হয়েছে। শুকনা খাবার এবং প্রয়োজনে চর অঞ্চলে ব্যবহারের জন্য যানবাহন বিশেষ করে নৌযান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সকল আশ্রয়ণকেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। বিভিন্ন মসজিদে মাইকিং করা হবে। সবদিক থেকে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

মাহমুদ হাসান রায়হান/এমজেইউ