ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে দেশের দক্ষিণের সীমান্তবর্তী জেলা কক্সবাজার উপকূলে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। শুক্রবার  (১২ মে) দুপুর আড়াইটা থেকে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, মোখা কক্সবাজার উপকূল থেকে ১ হাজার ২৫ কিলোমিটার দূরে (দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে) অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে উত্তাল সাগরে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নৌযান চলাচলের উপর ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা ভারি ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, মোখা কক্সবাজার উপকূলের কাছাকাছি। ফলে সাগর কিছুটা উত্তাল হয়েছে। মোখার প্রভাবে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। বাতাসের তীব্রতা বাড়বে। ফলে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং পাহাড়ে বসতিগুলো ঝুঁকিতে পড়বে।

তিনি আরও বলেন, সিডর ছাড়া গেল ১৫ বছরে বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়নি কক্সবাজারে। এবার মোখা কক্সবাজার অভিমুখী হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। মোখার প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে আগে থেকেই পাহাড় ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা জরুরি। 

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, মোখা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। 

এদিকে দুপুর ১২টা থেকে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। স্থানীয়দের অনেকেই ট্রলারে করে নিরাপদ স্থানের খোঁজে টেকনাফে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মোখার কারণে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সব উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলার উপকূলীয় এলাকার সাইক্লোন শেল্টার ও বিদ্যালয়সহ ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১০ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা, ৪৯০ মেট্রিক টন চাল, ৭ মেট্রিক টন শুকনো খাবার ও ১৯৪ বান্ডিল ঢেউ টিন মজুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পর্যটকদের সমুদ্র নামতে নিষেধ করা হয়েছে।

সাইদুল ফরহাদ/আরএআর